তিন দিনের সফরে ঢাকায় পৌছেই বৈঠকে স্টিফেন বিগান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১৬ এএম, ১৫ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার,২০২০ | আপডেট: ০১:৪২ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ঢাকায় পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন বিগান। তিন দিনের সফরে ভারত সফর শেষে বুধবার বিকাল ৫টার দিকে তিনি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। বুধবার রাতেই রাজধানীর একটি হোটেলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বিগান বৈঠক করছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে তার বৈঠক হবে। এদিন দুপুর ১২টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। বিগানের সফরসূচিতে কভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলায় বাংলাদেশের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে বৃহস্পতিবার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শনের কথা রয়েছে। সেখানে তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে মেডিকেল সরঞ্জাম হস্তান্তর করবেন।
বিগান ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেছেন, বিগানের সঙ্গে বৈঠকে তিনি মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসন জোরদারে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চেয়ে রোহিঙ্গা ইস্যু উত্থাপন করবেন।
সোমবার তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, ঢাকা ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির অধীনে অবকাঠামো উন্নয়নে এখানে বিনিয়োগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে প্রস্তাব দেবে। মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আইপিএস এর ব্যাপারে আমাদের কোনো আপত্তি নেই, তবে আইপিএস কার্যকর করতে এখানে অবকাঠামো উন্নয়নে অবশ্যই তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরো বলেন, তিনি সম্ভাবনাময় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা ইস্যুর বিষয়টি উপস্থাপন করবেন। কভিডের কারণে এখানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এখনো বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য নতুন শিক্ষার্থী ভিসা প্রদান শুরু করতে পারেনি।মহামারীর কারণে আর্থিক বিপর্যয় থেকে দেশের আরএমজি খাতকে পুনরুদ্ধারে ঢাকা আগামী তিন বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্যের (আরএমজি) শুল্কমুক্ত সুবিধা চাইবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সবার জন্য সমৃদ্ধি ভাগ করে নেওয়ার পাশাপাশি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সুরক্ষা এবং আমাদের অবাধ, মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ অভিন্ন লক্ষ্য এগিয়ে নেওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশের সঙ্গে উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনায় গুরুত্ব পাবে।