কিশোরগ্যাং লিডার যখন ছাত্রলীগের সভাপতি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২১ এএম, ১২ ফেব্রুয়ারী,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ১০:৪৭ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
চকবাজারের টিনুর সেকেন্ড-ইন কমান্ড হিসেবে পরিচিত সেই সাদ্দাম হোসেন ইভানকে এবার চকবাজার ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ। বুধবার একসাথে রেকর্ডসংখক ১৩টি ইউনিট কমিটির অনুমোদন দেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর। এর মধ্যে ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডে ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয় সাদ্দাম হোসেনকে ও সাধারণ সম্পাদক করা হয় মুজিবুর রহমান রাসেলকে।
চকবাজার ওয়ার্ড কমিটির নতুন এই সভাপতিকে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় (পাঁচলাইশ থানার মামলা নং-৭[৭]১৭) গ্রেফতার করা হয়েছিল। এছাড়া চকবাজার থানায় চাঁদাবাজি ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগে আরও তিনটি মামলা আছে সাদ্দাম হোসেন ইভানের বিরুদ্ধে।
গত ৭ জানুয়ারি রাতে পাঁচলাইশ থানার মোড়ে বাস থেকে নামিয়ে ইভান ও জয়নগরের তুষারের নেতৃত্বে একটি সশস্ত্র কিশোর গ্রুপ আবির নামে এক যুবককে ছুরিকাহত করে গুরুতর আহত করে। তারা বাস থেকে নামানোর পর আবিরকে পিস্তলের বাঁট দিয়ে আঘাত করে তাকে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর সন্ত্রাসীরা আবিরের পায়ে ছুরিকাঘাত করে। এই ঘটনায় সে সময় পাঁচলাইশ থানায় ইভান ও তার অনুসারীদের নামে একটি অভিযোগ করা হয়েছিল। চকবাজারে ইভানের নিয়ন্ত্রণাধীন কিশোর গ্যাং গ্রুপের আবার রয়েছে একাধিক উপগ্রুপ। যেখানে চট্টগ্রাম ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ, চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজ, চট্টগ্রাম কলেজ, মহসিন কলেজসহ স্থানীয় কিছু কিশোরদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন ৭০-৮০ জনের কিশোর গ্যাং।
এদের মধ্যে নাঈমুল হাসান, মোহাম্মদ নাজমুল তোফা, শিহাব হাসান, নাদিম উদ্দিন, তাসকিম হোসেন, সায়েম জয়, কামরুল হাসান, অন্তর কর, রবিউল হাসান শাফি, হাবিবুর রহমান, তানজীদ মাহাবুব, জিদান, হোসাইন তাহসান, এস এম সামাদের নাম উঠে আসে নানা ঘটনার পর। এমন চিহ্নিত সন্ত্রাসী কিভাবে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ একটি ওয়ার্ডে রীতিমতো সভাপতির দায়িত্ব দেয়ায় ক্ষোভের সঙ্গে বিস্ময়ও প্রকাশ করছেন তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।