আল জাজিরার তথ্যচিত্র তাদের একান্ত নিজস্ব বিষয়-দুদক চেয়ারম্যান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২১ এএম, ৯ ফেব্রুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১০:২১ পিএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, কালো টাকা সাদা করলে দুদকের কোনো আপত্তি নেই, তবে ঘুষের টাকা সাদা করা যবে না, এটা অনৈতিক।
আজ সোমবার দুদক কার্যালয়ে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ইকবাল মাহমুদ একথা বলেন।
২০১৯ সালের দুদকের বার্ষিক প্রতিবেদন ৭ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেয়া উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে যে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে সেখানে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রের কোন কোন খাতে বেশি দুর্নীতি হচ্ছে। একই সাথে এই দুর্নীতি দমনে সুপারিশ করা হয়েছে। ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘আইনি জটিলতার কারণে মানুষ ট্যাক্স দিতে ভয় পায়। এই খাতে আইনি জটিলতার অবসান করলে মানুষ ট্যাক্স দিবে।’ তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি দমনে নয় মাস আগে সুপারিশ করা হয়েছে। তবে তা কার্যকর হয়নি। এ অবস্থায় পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের নির্দেশে ১৪টি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়।’ ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের সুপারিশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এখন আপিল বিভাগ নির্দেশ দিলেই সরকার এগুলো কার্যকর করতে পারে।’
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আল জাজিরার তথ্যচিত্রটি আমি দেখেছি। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে, এসব অভিযোগের বিষয়ে তারা কী প্রমাণ পেশ করে। তিনি বলেন, আল জাজিরা যা করেছে তা তাদের একান্ত নিজস্ব বিষয়। প্রতিবেদনে উত্থাপিত অভিযোগসমূহের বিষয়ে তারা কী তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করে সে পর্যন্ত অপেক্ষা করব আমরা।’ সংবাদ সম্মেলনে দুদক চেয়ারম্যান প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক প্রতিবেদনের বিভিন্ন অংশ ও সুপারিশ তুলে ধরেন। এ সময় দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান ও এ এফ এম আমিনুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।