ঢাবি শিক্ষার্থীকে খুনের দায়ে পাঁচ জনের যাবজ্জীবন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩১ পিএম, ৫ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ১২:০০ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম বিপুকে খুনের দায়ে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস করে কারাভোগ করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন বাবু, বাবুল ওরফে চায়না বাবুল, তারিকুল ইসলাম ওরফে মিল্লাত, খায়রুল বাশার এবং সুমন ওরফে পাতলা সুমন। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় পাঁচজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন সোহেল, আলম, আজাহারুল ইসলাম ওরফে পারভেজ, মামুন এবং উজ্জল।
সংশ্লিষ্ট আদালতের সাঁটলিপিকার সোহানুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২৬ জুলাই বিকেলে ডেমরার বাসা থেকে বিপুকে ডেকে নিয়ে যান বাবু। এর ১৫-২০ মিনিট পর বিপুর বাসার গৃহকর্মী বাসায় এসে জানান, বিপু মাথায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। বিপুর খালা রোকসানা আক্তার ও প্রতিবেশী সুমন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় বিপুর মা লায়লা বেগম ওই দিনই ডেমরা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ডেমরা থানার উপ-পরিদর্শক সাইদুল ইসলাম ২০০৪ সালের ২৯ নভেম্বর ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।
চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় বিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। ২০০৬ সালের ১২ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।