সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ২৪ ফেব্রুয়ারি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪১ এএম, ১ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৫৮ এএম, ২৭ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
রাজধানীর ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটে (ব্লক-২) দোকানের বৈধতা দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়ার অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ রবিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম এ দিন ধার্য করেন।
এ দিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন জমা না দেয়ায় আদালত নতুন এ দিন ধার্য করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরকার, উপসহকারী প্রকৌশলী মাজেদ, কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান স্বপন ও ওয়ালিদ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ডিএসসিসির তৎকালীন মেয়র সাঈদ খোকনসহ অন্য আসামিরা দোকান বরাদ্দের কথা বলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করে মোট ৩৪ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৫৭৫ টাকা বেনামে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে গ্রহণ করেন। বাদী এ লেনদেনে বাধা দেয়ায় আসামিরা তার প্রাণনাশের চেষ্টা করেন। আসামিরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন কিন্তু কোনো দলিলাদি দেননি।
প্রসঙ্গত গত বছরের ৮ ডিসেম্বর থেকে ফুলবাড়িয়া সুপারমার্কেট-২ এ নকশাবহির্ভূত দোকান অপসারণে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে ডিএসসিসি। এ সংস্থার তথ্যমতে, ওই মার্কেটে ৯১১টি নকশাবহির্ভূত দোকান রয়েছে। ইতিমধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ উচ্ছেদ করা হয়েছে। অবশিষ্ট নকশাবহির্ভূত দোকানগুলো উচ্ছেদ অভিযান চলছে। অভিযান শুরুর দিন কয়েক দফায় দোকান মালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকা ৫৩৪ দোকান বৈধ। ১৯৯৭ সালে এসব দোকান বরাদ্দ দিয়েছিলেন প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ। নকশাবহির্ভূত এসব বরাদ্দ পেতে সালামি পরিশোধ করেছেন দোকান মালিকরা।
এ ছাড়া নিয়মানুযায়ী মাসিক ভাড়াও পরিশোধ করেছেন তারা। প্রতিটি দোকানের বিপরীতে ট্রেড লাইসেন্সও রয়েছে। কিন্তু কোনো নোটিশ ছাড়াই দোকানগুলো উচ্ছেদ করছে ডিএসসিসি।