ঢাকার বৃত্তাকার নৌপথে স্পিডবোট চলাচল শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৩ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:২০ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
ঢাকার ঢাকার বৃত্তাকার নৌপথে স্পিডবোট সেবা চালু করা হয়েছে।
আজ শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টঙ্গী নদীবন্দর থেকে ঢাকা বৃত্তাকার নৌপথে স্পিডবোট সার্ভিস চালু করা হয়। এই রুটে পাঁচটি স্পিডবোট চলবে।
স্পিডবোট চলাচল উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। এ সময় টঙ্গী ইকোপার্কও উদ্বোধন করেন তারা।
স্পিডবোট সেবা চালুর অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘বৃত্তাকার নৌরুপথে আমরা জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করছি। নদীকে সতেজ রাখব, জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে কাজে লাগাব। আমরা জানি এটা একটা চ্যালেঞ্জ। কিন্তু আমরা এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা হয়েছে।’
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘ঢাকার চারপাশে যে বৃত্তাকার নৌপথ রয়েছে সেটা চালু হয়ে গেছে। আমাদের কিছু সমস্যা আছে, সেই সমস্যাগুলো সমাধান করে এ নৌপথ জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে কাজে লাগাব।’
নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শিমুলিয়া-কাঠালিয়া নৌপথে স্পিডবোট চলাচল সীমিত হওয়ায় এখানে স্পিডবোট চালুর দাবি ছিল। এর মাধ্যমে গাজীপুরের মানুষ অতিরিক্ত যানজট থেকে মুক্তি পাবেন। তাদের সময় সাশ্রয় হবে।’
তিনি বলেন, ‘আজ টঙ্গী নদীবন্দর ইকো পার্ক উদ্বোধন করা হয়েছে। এই ইকোপার্ক সাধারণ মানুষের বিনোদনের জন্য। ঘনবসতিপূর্ণ টঙ্গীর মানুষ যে স্বস্তিতে একটু নিঃশ্বাস ফেলবে সেটির জায়গা নেই। তাই ইকোপার্কের পাশাপাশি আমরা এখানে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করে দিয়েছি।’
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেন, ‘নদীতে ঢাকার বৃত্তাকার পথে গাজীপুরবাসী সহজে স্পিডবোটে চলাচল করতে পারবে। এটি শেখ হাসিনার দূরদর্শী সিদ্ধান্ত। এ জন্য আমি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।’
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নৌ মন্ত্রণালয় সচিব মো. মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত মহা পুলিশ পরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান।
আয়োজকরা জানান, টঙ্গী নদী বন্দর এলাকায় তিন একর অধিগ্রহণ করা জমির মধ্যে আড়াই একর জমিতে ১১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে টঙ্গী ইকোপার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ইকোপার্কে ১০ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে, যা নদী রক্ষার পাশাপাশি জনসাধারণের বিনোদন দেবে।
এ ছাড়া পরীক্ষামূলকভাবে বেসরকারি উদ্যোগে টঙ্গী থেকে কড্ডা, টঙ্গী থেকে কালীগঞ্জের উলুখোলায় পাঁচটি স্পিডবোট সেবা চালু করা হয়। যাত্রী চাহিদা বাড়লে কড্ডা থেকে গাবতলী ও গাবতলী থেকে সদরঘাট পর্যন্ত দ্রুতগামী স্পিডবোট চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।