স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া দলটি গুলি-প্রশাসনে ভর করে টিকে আছে : মান্না
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৬ পিএম, ৩ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৩৪ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
আওয়ামী লীগকে এখন আর কেউ ভালোবাসে না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া দলটির জনপ্রিয়তা আজ শূন্যের কোঠায় এসে দাঁড়িয়েছে। গুলি আর প্রশাসনের কারণে তারা টিকে আছে।
আজ শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক যোগদান অনুষ্ঠানে মান্না এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট আইনজীবীসহ টাঙ্গাইল জেলার ১১ জন নাগরিক ঐক্যে যোগ দেন।
মান্না বলেন, রাজনৈতিক কর্মীদের বিশ্বাস রাখতে হবে, এই সরকার ক্ষমতা ছেড়ে চলে যাবে। যেমন বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস রেখেছিলেন, তাই দেশ স্বাধীন হয়েছিল। দেশে কেউ বলবে না যে খুশি আছে। যে সব ক্ষমতা নিয়ে বসে আছে, সে–ও খুশি নয়। এ ভয়ে থাকে যে কখন ক্ষমতা চলে গেল। তিনি বলেন, যে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে, তাদের আজ কেউ ভালোবাসে না। সবচেয়ে প্রবীণ, স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া দলটির জনপ্রিয়তা আজ শূন্যের কোঠায় চলে এসেছে। গুলি আর প্রশাসনের কারণে টিকে আছে। তাই ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে খুনের ঘটনা ঘটেছে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, এসব ঘটনা কিন্তু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য নয়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদের কারণে হয়েছিল। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উৎসবে হামলা চালানো হয়েছিল। এখন গুলি, লাঠি, কাঁদানে গ্যাসের শেল ছাড়া প্রতিবাদ বন্ধ করতে পারছে না সরকার। এভাবে পারবে না প্রতিবাদ বন্ধ করতে। তিনি বলেন, ‘বাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে এখন ৫ পয়সা কমায়। এ সরকার ফোরটোয়েন্টি সরকার। দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা প্রায় আট কোটি। ক্ষুধা আমাদের প্রধান সমস্যা। সমস্যা রুখতে প্রয়োজন কল্যাণ রাষ্ট্র।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (ডাকসু) সাবেক এ সহসভাপতি বলেন, বিরোধী দলের নেতা জি এম কাদের বলেছেন, এবার আর রাতে ভোট করা যাবে না। এর মাধ্যমে তারা স্বীকার করেছে, এই সরকার ভোট চুরি করেছিল। তারা চোরদের সরকার। তিনি বলেন, ‘এখন কেউ বলছে, নিরপেক্ষ সরকারের ব্যবস্থা চাই, কেউ বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন ভোট চাই। আমরা চাই, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীন ভোট। রাজনীতি একটি শিল্প। আমরা কাউকে গালাগালি করব না। তবে চোরকে চোর বলব। আমরা লড়াই করার চেষ্টা করছি, প্রতিবাদ করছি।’
এ সময় মান্না বলেন, ‘অনেকেই বলেন, আমি কী করলাম জীবনে। সব ভেবে তখন মনে হয়, জীবনে আসলে ব্যর্থ নই। এই দেশে প্রচলন আছে, আমরা ভাষার জন্য জীবন দিই। স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করি। আবার একটি অংশ, যারা ক্ষমতার কাছে নিজেকে বিসর্জন দেয়। কিন্তু সব মিলিয়ে নিজের জীবন নিয়ে ভাবলে আশার আলো জাগে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, প্রেসিডিয়াম সদস্য মমিনুল ইসলাম, জিন্নুর চৌধুরী দীপু ও মোফাখখারুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক কবীর হাসান প্রমুখ।