স্ত্রীকে নির্যাতন ও পরকীয়ার অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২৬ এএম, ২৭ জানুয়ারী,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৫৬ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
স্ত্রীকে মারধর করে যৌতুক দাবি ও পরকীয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দারুস সালাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মাজহারুল এনামকে গ্রেপ্তার করেছে দারুস সালাম থানা পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি দায়ের করেছেন তার স্ত্রী ফিরোজা পারভীন। পরে ওই মামলায় এবিএম মাজহারুল এনামকে গ্রেপ্তারের পর আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন, ২০০৮ সালে তাদের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে একটি সন্তানও রয়েছে। তবে সেই সন্তান মানসিক প্রতিবন্ধী। বিভিন্ন সময়ে আসামি তার স্ত্রীর ওপরে নির্যাতন করতেন। এছাড়াও তার স্ত্রীর পরিবারের কাছে থেকে তিনি ব্যবসার নামে বেশ কিছু টাকা নিয়েছেন।
মামলায় বাদী আরও অভিযোগ করেছেন, তার স্বামীর সঙ্গে অপর এক নারীর পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। সে কারণে তাদের সংসার প্রায়ই ঝগড়াঝাঁটি হতো। সর্বশেষ গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় আসামি তার স্ত্রী কে মারধর করেন। এক পর্যায়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন বলেও মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে।
মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, ভুক্তভোগী নারীর স্বামীসহ মামলায় মোট সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে তার স্বামীর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে থাকা ওই নারীও রয়েছেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দারুস সালাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘মামলার প্রধান আসামি এবিএম মাজহারুল এনামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ তাকে আদালতেও পাঠানো হয়েছে।’
এসআই আরও বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি দায়ের করেছেন তার স্ত্রী ফিরোজা পারভীন। এই মামলায় আরও ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে ৩১ আগস্ট রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক হয়েছিলেন এ বি এম মাজহারুল আনাম। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালত পাঠানো হয়েছিল। অস্ত্র ও ৪৪ রাউন্ড গুলি নিয়ে বিমানবন্দরে প্রবেশ করার সময় এ বি এম মাজহারুল আনামকে আটক করে বিমানবন্দর এভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্স। ওই দিন সকাল সোয়া ১০টার একটি ফ্লাইটে কক্সবাজার যাওয়ার কথা ছিল তার।
বিমানবন্দর এভিয়েশন সিকিউরিটি অপারেশনের পরিচালক নূরে আলম সিদ্দিক ওই সময়ে জানিয়েছিলেন, মাজহারুল আনামের কাছ থেকে ৩৪ রাউন্ড রাইফেলের ও ১০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি পাওয়া যায়।
বিমানবন্দরে প্রবেশের সময় মাজহারুল আনাম তার কাছে গুলি থাকার বিষয়টি ঘোষণা করেননি। স্ক্যানিংয়ের সময় তার হ্যান্ডব্যাগে গুলি ধরা পড়ে। পরে তাকে এভিয়েশন সিকিউরিটির অফিসে নিয়ে আসা হয়। এ সময় পিস্তলের লাইসেন্স দেখাতে পারলেও গোলাবারুদের ব্যাপারে কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি।