শতভাগ বর্জ্য অপসারণের দাবি ডিএনসিসির
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:১৯ পিএম, ১১ জুলাই,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৫৯ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নির্ধারিত সময়ের আগেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন এলাকা থেকে শতভাগ কোরবানি বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন মেয়র মো.আতিকুল ইসলাম।
আজ সোমবার (১১ জুলাই) রাজধানীর গুলশান-২ এ নগরভবনের হল রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।
মো.আতিকুল ইসলাম বলেন, সকলের সহযোগিতায় পূর্ব ঘোষিত ১২ ঘণ্টার আগেই ঢাকা উত্তর সিটির কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে। সচেতন নাগরিকদের আন্তরিক সহযোগিতায় এটি করতে পেরেছি। আগামী দিনেও ঢাকা শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে জনগণ ও সিটি কর্পোরেশনকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, ঈদের দিন ৭ নং ওয়ার্ডের সাতটি নির্দিষ্ট স্থানে প্রায় ৬ হাজার পশু কোরবানি দেওয়া হয়েছে। নিজে সেখানে গিয়ে দেখেছি দুপুরের মধ্যেই ৭ নং ওয়ার্ডের শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়। এ বছর কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ৭ নং ওয়ার্ড প্রথম হওয়ায় সেখানে পুরস্কার হিসেবে বরাদ্দ বাড়িয়ে দেওয়া হবে।
ক্ষমতায় নয় বরং জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমি দায়িত্বে এসেছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে গতকাল পুরোটা সময় মাঠে থেকে দায়িত্ব পালন করেছি এবং নির্ধারিত সময়ে বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিত করতে পেরেছি।
নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি হলে উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি খুব অল্প সময়ে বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব উল্লেখ করে আগামী ঈদে প্রতিটি অঞ্চলে নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির আহ্বান করেন ডিএনসিসি মেয়র।
মেয়ের আরও বলেন, আমরা সিটি কর্পোরেশন থেকে নির্দিষ্ট স্থানে প্যান্ডেলের ব্যবস্থা করে দেব, মাংস বাসায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য গাড়ির ব্যবস্থাও করে দেব। রাস্তায়, ফুটপাতে ও যেখানে সেখানে কোরবানি না দিয়ে আপনারা শুধু দায়িত্ব নিয়ে প্যান্ডেলে এসে পশু কোরবানি দেবেন।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আধুনিক জবাইখানা নির্মাণের জন্য দ্রুতই আমরা পদক্ষেপ নেব। সংশ্লিষ্ট বিভাগকে আমি নির্দেশনা দিয়েছে আধুনিক জবাইখানা নির্মাণের জন্য। গাবতলী স্থায়ী পশুর হাটের পাশেই উন্নত দেশের মতো আধুনিক জবাইখানা নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।