ফ্যামিলি কার্ডে টিসিবির পণ্য : খালি হাতে ফিরছেন অনেকে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৭ এএম, ২৩ জুন,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০২:৫৯ এএম, ১৫ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
ফের শুরু হয়েছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রি কার্যক্রম।
আজ বুধবার থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়। তবে এবার আগের মতো ট্রাকে নয়, শুধু ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে পণ্য মিলছে। রাজধানীতে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডের নির্ধারিত টিসিবির ডিলারের দোকান অথবা স্থায়ী স্থাপনায়। তবে প্রথম দিনেই দুপুর পর্যন্ত অনেক ডিলারের দোকান বন্ধ দেখা গেছে। সে কারণে ফ্যামিলি কার্ড পেয়েও খালি হাতে ফিরেছেন অনেকে। আবার কোনো কোনো এলাকায় ডিলার পণ্য বরাদ্দ পেলেও সে ওয়ার্ডের কমিশনার ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ শেষ করতে পারেননি। ফলে ডিলারের কাছ থেকে সকালে একজনও পণ্য কেনেননি। সরেজমিনে দেখা গেছে এমন চিত্র।
দুপুর ১২টার পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) এক নম্বর ওয়ার্ডের ক্রেতাদের জন্য নিযুক্ত টিসিবির ডিলার মাহি এন্টারপ্রাইজের দোকানটি বন্ধ পাওয়া যায়। এসময় দোকানের সামনে দেখা গেছে অনেক মানুষ। কেউ কেউ অপেক্ষা করে ফিরে গেছেন। আবার কেউ অপেক্ষায় রয়েছেন কয়েক ঘণ্টা ধরে। সেখানে সেকেন্দার আলী নামের একজন বলেন, এই দোকানে পণ্য দেবে বলে ওয়ার্ড কমিশনারের অফিস থেকে জানানো হয়। সকাল ৯টায় এসেছি। কিন্তু দোকান বন্ধ। অনেক মানুষ এসে ফিরে যাচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে মাহি এন্টারপ্রাইজের মোবাইলে যোগাযোগ করলে ডিলারের প্রতিনিধি দাবি করে রাবেয়া আক্তার বলেন, এখনও মাল (পণ্য) আসেনি। টিসিবিতে আছি। লোড হচ্ছে মাল। দুপুরের পর দেয়া হবে। টিসিবি থেকে মঙ্গলবারও ডিলারদের পণ্য দেয়া হয়েছে, তবে কেন আগে পণ্য তোলেননি এমন প্রশ্নে রাবেয়া আক্তার বলেন, মঙ্গলবার মেসেজ (পণ্য বরাদ্দের বার্তা) আসেনি। আজ সিরিয়ালে আটকে আছি সকাল থেকে।
একই অবস্থা দেখা গেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের টিসিবির ডিলার মুন ট্রেডার্সে। সেখানেও দুপুর নাগাদ বিক্রি শুরু হয়নি। তবে সেখানে ডিলারের প্রতিনিধি জানান, একটু আগে পণ্যের বরাদ্দ পেয়েছি। কিন্তু কমিশনার অফিস থেকে বিতরণ হয়নি কার্ড। সেজন্য বিক্রি বন্ধ রয়েছে। দক্ষিণের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের দোকান জে কে ট্রেডার্সেও সকাল থেকে পণ্য বিক্রি হয়নি। যদিও এ দোকান সকাল ৯টায় খুলেছে। ডিলারের প্রতিনিধি বাবু জানান, কমিশনার কার্ড দিতে পারেননি। এজন্য বিক্রি বন্ধ। সকাল থেকে একজনকেও পণ্য দিতে পারিনি। জানতে চাইলে ওয়ার্ড কমিশনার মামুন রশিদ শুভ্র বলেন, ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ করতে পারিনি। প্রতিটি কার্ড হাতে লেখে পূরণ করে দিতে হচ্ছে। অনেক কাজ। আজকের মধ্যে কার্ড দেয়ার চেষ্টা চলছে। কাল থেকে পণ্য কিনবেন ক্রেতারা। এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিসিবি জানায়, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এক কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য দেয়া হবে। টিসিবির এ কার্যক্রম চলবে ৫ জুলাই পর্যন্ত। টিসিবির বিক্রি কার্যক্রমের চলতি দফায় শুধুমাত্র তিনটি পণ্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সেগুলো হলো প্রতি লিটার সয়াবিন ১১০ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা এবং মসুর ডাল ৬৫ টাকা। একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল ও এক কেজি চিনি কিনতে পারবেন। ডিলাররা জানিয়েছেন, তাদের ডিলারপ্রতি দুই হাজার লিটার তেল, দুই হাজার কেজি মসুর ডাল এবং এক হাজার কেজি চিনি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা এক হাজার মানুষের মধ্যে বিতরণ সম্ভব।