ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ভবনে আগুন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩৮ এএম, ২০ জানুয়ারী,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০২:২৭ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ভবনের ১০ তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার রাসেল শিকদার জানান, গুলশান-২ এ নগর ভবনের ১০ তলায় আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ৪টা ৫ মিনিট থেকে ৪টা ১০ মিনিট পর্যন্ত তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের আরো দুইটি ইউনিট রওয়ানা দিয়েছিল। কিন্তু তার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
তিনি জানান, মূলত ৩টা ৫০ মিনিটে হঠাৎ করে একটি বাল্ব বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ডিএনসিসির একজন কর্মকর্তা ফায়ার সার্ভিসে ফোন দেন। তার আগে ফায়ার এক্সটিংগুইশার দিয়ে তারা নিজেরাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। এদিকে, ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এএসএম মামুন গণমাধ্যমকে জানান, নগর ভবনের লেভেল ১০-এ হঠাৎ করে একটি বাল্ব বার্স্ট হয়ে আগুন ধরে যায়। করপোরেশনের একজন কর্মচারী ফায়ার এক্সটিংগুইশার দিয়ে তা নিভিয়ে ফেলে। আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনও জানা যায়নি।’
২০১৯ সালে মার্চে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় গুলশানের ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের কাঁচাবাজার৷ এ অগ্নিকাণ্ডে বাজারটির প্রায় ৩০০ ব্যবসায়ী তাদের সব কিছু হারিয়ে পথে বসেন৷ ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে৷ কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ওই বাজারের ৩০০ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়৷ এরআগে ২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি এই কাঁচাবাজাটিতে আগুন লেগেছিল আরেকবার৷ তখনো কেনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষা পায়নি৷ অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় চলে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ৷ ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) মেজর শাকিল নেওয়াজ বলেছেন, ‘‘মার্কেটে আগুন নেভানোর কোনো ব্যবস্থা ছিল না৷ পানির সংকট ছিল৷'' তিনি বলেন, ‘‘২০১৭ সালের আগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর এ সংক্রান্ত নিরাপত্তার বিষয়ে যে সুপারিশ করা হয়েছিল, তা পরবর্তীতে অনুসরণ করেনি বাজার কর্তৃপক্ষ৷'' এদিকে, বাজারটির ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘‘এটা ডিএনসিনি'র মার্কেট৷ তারা ব্যবস্থা না করলে আমরা কি করতে পারি?''২০১৭ সালে এই মার্কেটে আগুনে পাঁচটি দোকান পুড়ে গিয়েছিল তাঁর৷ এরপর ১২ লাখ টাকা ঋণ করে তিনি আবার ব্যবসা শুরু করেন৷ এবারের আগুনেও তাঁর পাঁচটি দোকানই পুড়ে গেছে৷ তিনি তাঁর স্বামী, সন্তান ও একজন কর্মচারী নিয়ে দোকানগুলো দেখাশোনা করতেন৷