খাবার অর্ডারের কথা বলে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, গ্রেপ্তার ২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২২ পিএম, ১৯ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৩৩ পিএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
রাজধানীর উত্তরা থেকে অপহৃত ব্যবসায়ী মিহির রায়কে উদ্ধারসহ দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগ।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার।
তিনি বলেন, ‘সোমবার দক্ষিণখান থানার চেয়ারম্যান পাড়ার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অপহৃত ভুক্তভোগীকে উদ্ধারসহ অপহরণকারী মো. মিরাজ (৩৫) ও বৃষ্টিকে (২১) গ্রেপ্তার করে উত্তরা জোনাল টিম। গ্রেপ্তারের সময় তাদের হেফাজত থেকে অপহরণে ব্যবহৃত একটি ছুরি, ৫৭টি ইলেক্ট্রিক্যাল ক্যাবল টাইস, একটি স্ক্রু ড্রাইভার ও একটি প্লাস উদ্ধার করা হয়। সেই সাথে ভিকটিমের স্ত্রীর কাছ থেকে বিকাশে নেওয়া নগদ ৪৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।’
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, মিহির রায়ের উত্তরা ৯নং সেক্টরে ফুড স্টোরি নামে একটি ফাস্ট ফুডের দোকান রয়েছে। ১৩ জানুয়ারি, সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি তার দোকানে খাবার খেয়ে আরও ৮০ প্যাকেটের অর্ডার দেবে বলে তাকে সাথে করে নিয়ে যায়। এরপর ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী তাকে ফোন দিলে তার নম্বর বন্ধ পায়।
পরের দিন ভুক্তভোগী তার নম্বর থেকে স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানান, তাকে অপহরণ করা হয়েছে। ২০ লাখ টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। ভিকটিমের স্ত্রী বিভিন্ন সময়ে অপহরণকারীদের দেওয়া নম্বরে ২ লাখ ৯১ হাজার টাকা বিকাশ করে। অবশিষ্ট টাকা না দিলে তার স্বামী মিহিরের ক্ষতি করার হুমকি দেয় অপহরণকারীরা।
এ ঘটনায় ১৬ জানুয়ারি মিহিরের স্ত্রী বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা রুজু করেন। ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, মামলার পর অপহৃত ব্যবসায়ী মিহির রায়কে উদ্ধারের জন্য রাজধানীতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উত্তরা জোনাল টিম। অভিযানকালে গোয়েন্দা টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অপহরণ চক্রটি মিহিরকে দক্ষিণখানের চেয়ারম্যান পাড়ার হেজুর উদ্দিন রোডের একটি বাড়িতে আটকে রেখেছে।
এমন সংবাদ পেয়ে ওই বাড়িতে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ। বাড়িটির ৩য় তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা অপহরণকারী চক্র। তারা বিভিন্ন সময় অপহরণের সাথে জড়িত থাকার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। এছাড়া তারা অপহরণের পর ভিকটিমের অশ্লীল ছবি তুলে রাখতো, যাতে ভুক্তভোগী মুখ খুলতে না পারে। ভুক্তভোগী যদি এ বিষয়ে পুলিশ অথবা অন্য কারও কাছে অভিযোগ করে, তাহলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিকটিমের অশ্লীল ছবি ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখাতো চক্রটি।