অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আরও মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন-তথ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৩ এএম, ১৯ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:০১ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস ও বর্ণবাদ মোকাবিলায় আরও মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আমেরিকার পার্লামেন্টে যেভাবে হামলার ঘটনা ঘটেছে, সেভাবে বাংলাদেশ কিংবা ভারতে কি হামলা হয়েছে? আমাদের দেশে তো কখনও পার্লামেন্টে হামলা হয়নি। এ বিবেচনা থেকে বলছি, যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস এবং বর্ণবাদ মোকাবিলায় আরও মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।
আজ সোমবার দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় ‘বাংলাদেশে আল- কায়েদার উপস্থিতি আছে’ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বাংলাদেশে আল-কায়েদার কোনো উপস্থিতি নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অজ্ঞতাপ্রসূত যখন এমন মন্তব্য করেন, সেটি খুবই দুঃখজনক। যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো কিনা এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের বাস্তবতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেভাবে সহিংসতা দেখা দিয়েছে, পার্লামেন্ট হামলা চালিয়ে সেখানে কয়েকজন নিহত পর্যন্ত হয়েছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের দেশব্যাপী সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে পারে। এফবিআই এমন তথ্য দিয়েছে। যেকোনো দেশে সন্ত্রাসবাদ দমন আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব এবং লক্ষ্য। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমনে আমেরিকাকে বেশি মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। ওবায়দুল কাদেরের ভাই মির্জা কাদেরের প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, তাকে নিয়ে তো গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত দেখা গেছে আব্দুল কাদের মির্জা বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। তার দুজন মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি এবং জামায়াতের প্রার্থীর সম্মিলিত ভোটের চাইতেও তিনি তিন গুণ বেশি ভোট পেয়েছেন। এ জন্য আব্দুল কাদের মির্জা অবশ্যই অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য। তিনি যে বক্তব্যগুলো দিয়েছেন নির্বাচনের আগে, আমাদের দলের অনেকেই অতীতে এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। স্থানীয়ভাবে দলের সাংগঠনিক বিষয়ে নিয়ে যে প্রশ্নগুলো তিনি তুলেছেন সেই অধিকার সবার আছে। সেই অধিকার নিয়েই তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। এগুলো দলীয় ফোরামে আলোচনা হবে। হবিগঞ্জের মাধবপুরে নৌকার প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হবিগঞ্জের মাধবপুর নিয়ে আমার স্পেসিফিক ধারণা নেই, খবর নিয়ে বলতে হবে। সেখানে নিশ্চয়ই অন্য প্রার্থীদের পক্ষে আওয়ামী লীগের দলীয় নেতারা কাজ করেছেন। কেন করেছেন, সেটি নিশ্চয়ই অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’