গতবারের তুলনায় এবার ভালো নির্বাচন প্রত্যাশা করে জাপান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৩৮ পিএম, ৭ জুন,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:১৭ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, গতবারের তুলনায় এবার বাংলাদেশে ভালো নির্বাচন প্রত্যাশা করে জাপান। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার পদক্ষেপ নেবে বলে আশা জাপানের।
আজ মঙ্গলবার (৭ জুন) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন জাপানের রাষ্ট্রদূত। অনুষ্ঠানের আয়োজক ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব)।
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রত্যাশার বিষয়ে জানতে চাইলে ইতো নাওকি বলেন, ‘আগামী বছরের শেষে নির্বাচন হওয়ার কথা। এ নির্বাচন নিয়ে গণমাধ্যম প্রতিদিন খবর প্রচার করছে। নির্বাচনের ব্যাপারে আমি সরকারের দিক থেকে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি লক্ষ করেছি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে নতুন আইন প্রণয়ন ও নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মতো বিষয়। তাই আমি আশা করব, গতবারের তুলনায় এবার ভালো, অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার পদক্ষেপ নেবে।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আপনারা হয়তো শুনে অবাক হতে পারেন, ঢাকায় জাপান দূতাবাস ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনের পরপরই উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি প্রচার করেছিল। সেখানে মূল উদ্বেগের প্রসঙ্গ ছিল নির্বাচনকালীন সহিংসতা। প্রত্যেক নাগরিক যাতে অবাধে ভোটাধিকারের চর্চা করতে পারে, এটি জরুরি। এ পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমের ভূমিকাকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই।’
ইতো নাওকি বলেন, ‘জাপান যে বাংলাদেশে তুলনামূলকভাবে ভালো ও অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়, তা সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বলেছি। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে আমাদের প্রত্যাশার বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে অব্যাহতভাবে তুলে ধরতে থাকব।’
অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের অবাধে দায়িত্ব পালনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন জাপানের রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, ভালো নির্বাচন আয়োজনের স্বার্থে গণমাধ্যমের স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারাটা জরুরি। জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিষয়টি গণমাধ্যমে কীভাবে প্রতিফলিত হতে পারে, সেটি গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশে গণমাধ্যম-সংশ্লিষ্ট আইনের প্রসঙ্গ টেনে ইতো নাওকি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ঘিরে এই মুহূর্তে সাংবাদিকদের মধ্যে বিতর্ক চলছে। তাই এখন থেকে নির্বাচন পর্যন্ত গণমাধ্যমকর্মীদের অবাধে কাজ করার সুযোগ থাকতে হবে।
ডিকাব সভাপতি রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈন উদ্দীন।