‘দুর্নীতির প্রমাণ পেলে তাপস-খোকনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২৭ পিএম, ১৬ জানুয়ারী,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:২৯ এএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এবং সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন দু’জনই ভিন্ন মানুষ। তাদের দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য থাকতে পারে। তবে তারা দুর্নীতি করেছেন এমন প্রমাণ পেলে রাষ্ট্রের প্রচলিত আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারে ঢাকা ওয়াসা আয়োজিত সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে ‘বিল কালেকশন অ্যাওয়ার্ড ২০১৯-২০২০’ প্রদান অনুষ্ঠন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, তাপস ও খোকন পরস্পর বিরোধী কথা বলছেন। আশা করি এটা সমাধান হয়ে যাবে। সাঈদ খোকন ও শেখ ফজলে নূর তাপসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হতে পারে। তবে কোথাও যদি দুর্নীতি হয় এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণ পাওয়া যায় তা হলে রাষ্ট্রের প্রচলিত আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবেন তারা।
তাজুল ইসলাম বলেন, নগরীর পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ঢাকা ওয়াসা থেকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাছে স্থানান্তরের পর থেকেই মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় কাজ শুরু করেছে সংস্থা দুটি। আগামী সপ্তাহে এই দুই সিটি করপোরেশনকে নিয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা হবে। ঢাকা শহরের নাগরিক সমস্যা সমাধান করে একটি আধুনিক বাসযোগ্য দৃষ্টিনন্দন শহর করতে যা যা করার দরকার তা করা হবে।
তিনি বলেন, মন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই রাজধানীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ শুরু করেন। সে অনুযায়ী বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আমিনবাজারে ইন্সিনেরেশন প্ল্যান্ট স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার তাকসিম এ খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইবরাহীম।
এসময় তাকসিম এ খান বলেন, ঢাকা শহরে প্রতিদিন ২৬৪ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করি। বিশ্বের অন্য কোনো শহরে এতো বড় কার্যক্রম নেই। ভবিষ্যতে নাগরিক সেবা আরও বাড়ানো হবে।
পরে সরকারি-বেসরকারি ৩৪ টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের হাতে ‘বিল কালেকশন অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দেয়া হয়। বেস্ট অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয় ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড ও সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডকে।