রামদা দিয়ে নাহিদকে কুপিয়েছে ঢাকা কলেজের রাব্বী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪২ এএম, ২৫ এপ্রিল,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০১:০২ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
রাজধানীর নিউমার্কেটে ছাত্র-ব্যবসায়ী সংঘর্ষের ঘটনায় হেলমেট পরা এক যুবক রামদা দিয়ে ডেলিভারি ম্যান নাহিদকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। হেলমেট পরা ওই যুবককে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তার নাম রাব্বী। মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ সূত্র জানায়, নিউ মার্কেটের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত নাহিদ ও মোরসালিনকে কোপানো মোট ৩ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে নাহিদকে কুপিয়েছে দুই যুবক। দুইজনের একজন হচ্ছেন রাব্বী। রাব্বী ঢাকা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। সে ঢাকা কলেজের নর্থ হলে থাকে। তার পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে ডিবি। নাহিদকে কোপানো আরেক যুবকের চেহারা স্পষ্টভাবে দেখতে পাওয়া গেলেও তার পরিচয় নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে ডিবি পুলিশ। মোরসালিনকে রাম দা দিয়ে হত্যা করা যুবকের চেহারাও শনাক্ত করেছে পুলিশ। তার পরিচয় নিশ্চিত হতে তদন্ত চলছে।
ডিবি জানায়, তাদের ধরতে ইতিমধ্যে সারাদেশে অভিযান শুরু হয়েছে। সীমান্ত এলাকাগুলোতেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করা হতে পারে। এ বিষয়ে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এম হাফিজ আক্তার বলেন, এই ঘটনায় একাধিক মামলা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। ঘটনাস্থলের সব ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৮ এপ্রিল) রাতে দিকে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও। পরে মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকালে আবারও সংঘর্ষে জড়ান শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা। মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে তারা ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন। ছাত্রদের অনেকে হেলমেট পরে এবং লাঠি হাতে নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান।
ব্যবসায়ী-কর্মচারীরাও লাঠিসোটা ও লোহার রড নিয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা চালানো শুরু করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ সংঘর্ষ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে গোটা নিউ মার্কেট ও সায়েন্সল্যাব এলাকায়। থেমে থেমে সারাদিন চলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী এবং প্রায় অর্ধশত ব্যবসায়ী-কর্মচারী আহত হন। দুই শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হওয়া কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মী নাহিদ হোসেন মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রাতে মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা যান এবং আহত রেডিমেড দোকানের কর্মচারী মোরসালিন (২৬) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) ভোর ৫টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যান।