বৈঠকে ছাত্র-ব্যবসায়ী সমঝোতা, দোকান খুলেছে নিউমার্কেটের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩১ পিএম, ২১ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ১০:৫৭ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
নিউমার্কেটের দোকান আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে খুলতে শুরু করেছে। আশপাশের অন্য মার্কেটগুলোও খুলতে শুরু করেছে, তবে ঢাকা কলেজের উল্টোপাশের মার্কেটগুলো এখনো খোলেনি।
গতকাল বুধবার গভীর রাতে এক বৈঠকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী এবং দোকানকর্মীদের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এর ভিত্তিতে আজ নিউমার্কেটের দোকানগুলো খুলতে শুরু করেছে।
গত সোমবার রাতে আড়াই ঘণ্টার সংঘর্ষের পরদিন মঙ্গলবার দিনভর নিউমার্কেট এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষের কারণে নিউমার্কেটসহ আশপাশের সব দোকানপাট বন্ধ ছিল। গতকাল বুধবারও বন্ধ ছিল মার্কেট। আজ সকাল ১০টার দিকে নিউমার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, অল্প কয়েকটি দোকান খুলেছে৷ কয়েকটি দোকানে খোলার প্রস্তুতি চলছে৷ নিউমার্কেটের রাস্তার ওপর থাকা কিছু দোকানও খোলা দেখা গেল। ফটকে থাকা নিরাপত্তাকর্মী মো. ওহাব জানান, আজ পুরোদমে মার্কেট খুলবে।
ঢাকা কলেজের পার্শ্ববর্তী চন্দ্রিমা মার্কেট, উল্টোপাশের নূরজাহান মার্কেট ও গ্লোব শপিং সেন্টার পুরোপুরি বন্ধ দেখা যায়। গাউছিয়া মার্কেটের কিছু কিছু দোকান খোলা হয়েছে। এই মার্কেটের সামনের ফুটপাতের দোকানগুলোও খুলতে শুরু করেছে। চাঁদনীচক মার্কেটে গিয়েও কিছু দোকান খোলা দেখা যায়।
ঢাকা নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম সকালে বলেন, রাতে ছাত্র, ব্যবসায়ী, শিক্ষা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, ঢাকা কলেজ প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে এক যৌথ বৈঠকে সমঝোতা হয়েছে। আজ বেলা ১১টার পর থেকে হয়তো মার্কেট খুলবে।
গতকাল রাতে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (সায়েন্স ল্যাবরেটরি) সভাকক্ষে সব পক্ষের মধ্যে ওই বৈঠক হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আজ সকালে নিউমার্কেটসহ সব দোকানপাট খুলে দেওয়া হবে৷ ছাত্রদের ছুটি ও হলে থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
ছাত্রদের দাবিগুলোর প্রায় সবই যৌক্তিক—এ কারণে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে দাবিগুলো মানা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিগগিরই মনিটরিং সেল গঠন করা হবে। সংঘর্ষে তৃতীয় পক্ষের উসকানি ছিল বলেও এ সময় দাবি করেন নেহাল আহমেদ।