মুখ্য সচিবের বক্তব্য সঠিক নয় : টিআইবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৪০ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
টিকা কেনাকাটায় দুর্নীতি ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) অর্থায়নে অস্ট্রেলীয় কোম্পানি বিএইচপির নাম জড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসের বক্তব্য প্রসঙ্গে নিজেদের ব্যাখ্যা দিয়েছে টিআইবি। তারা বলেছে, আহমদ কায়কাউসের যে বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তা সঠিক নয়; বরং বিভ্রান্তিকর এবং ভুল তথ্য ও ধারণাভিত্তিক।
এক বিবৃতিতে টিআইবি বলেছে, আহমদ কায়কাউস তাঁর বক্তব্যে টিআইবিকে উদ্ধৃত করে কোভিড-১৯ টিকা কেনায় গড়ে ৬৯ টাকা ঘুষ দেওয়ার যে বিষয়ের অবতারণা করেছেন, তা পুরোপুরি বিভ্রান্তিকর। কেননা, ১২ এপ্রিল টিআইবি প্রকাশিত ‘করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলায় সুশাসন: অন্তর্ভুক্তি ও স্বচ্ছতার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে ৬৯ টাকা ঘুষ দেওয়ার বিষয়টি এসেছে টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে গ্রহীতাদের বুথফেরত জরিপের ফলাফলে, যা কোনোভাবেই টিকা কেনাকাটার সঙ্গে যুক্ত নয়।
টিআইবি বলছে, গবেষণার অংশ হিসেবে দৈবচয়নের ভিত্তিতে ৩ হাজার ৩৯৩ জন টিকাগ্রহীতার ‘এক্সিট-পোল’ সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে ২ শতাংশ টিকাগ্রহীতা অনিয়ম-দুর্নীতির শিকার হন, যার মধ্যে কালক্ষেপণ, টিকাকেন্দ্রে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সুবিধা দেওয়া, দুর্ব্যবহার ও কিছু কেন্দ্রে টিকা থাকা সত্ত্বেও টিকাগ্রহীতাদের ফিরিয়ে দেওয়া উল্লেখযোগ্য। এগুলোর মধ্যে আবার অতিরিক্ত ভিড় এড়িয়ে দ্রুত টিকা পেতে ১০ দশমিক ১ শতাংশ সেবাগ্রহীতাকে গড়ে ৬৯ টাকা ঘুষ হিসেবে দিতে হয়েছে বলে জরিপে উঠে এসেছে। এটি কোনোভাবেই টিকা কেনায় কথিত ঘুষ দেওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব টিআইবির অর্থায়ন নিয়ে ভুল তথ্য বা ধারণার ভিত্তিতে অস্ট্রেলীয় মাইনিং কোম্পানি বিএইচপির নাম জড়িয়ে ফেলেছেন। টিআইবি কখনোই বিএইচপির কাছ থেকে কোনো ধরনের তহবিল গ্রহণ করেনি এবং করার প্রশ্নও আসেনি। টিআইবির অর্থায়ন সংক্রান্ত সব তথ্য টিআইবির ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করা হয়েছে।