যুব মহিলালীগ নেত্রী পাপিয়া দম্পতির বিচার শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪২ এএম, ১৩ জানুয়ারী,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০২:১২ এএম, ২৬ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
মাদক দ্রব্য আইনে করা মামলায় এবার যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নুর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেছেন আদালত।
ঢাকার অতিরিক্ত অষ্টম মহানগর দায়রা জজ আমিরুল ইসলাম মঙ্গলবার আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন। একইসঙ্গে আদালত আগামী ১ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন। চার্জ গঠনের মধ্যে দিয়ে এ মামলায় তাদের বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।
২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি দেশত্যাগের সময় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, নগদ ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ ইউএস ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর ওইদিন রাতেই পাপিয়ার নরসিংদীর বাসায় এবং পরদিন হোটেল ওয়েস্টিনে তাদের নামে বুকিং দেওয়া বিলাসবহুল প্রেসিডেন্সিয়াল সুটে অভিযান চালানো হয়। এছাড়া, ফার্মগেট এলাকার ২৮ নম্বর ইন্দিরা রোডে রওশন'স ডমিনো রিলিভো নামক বিলাসবহুল ভবনে তাদের দুটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি পিস্তলের ম্যাগজিন, ২০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ ও নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড উদ্ধার করে র্যাব।
এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র আইনে একটি, মাদক আইনে একটি ও বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়। গত বছর ১০ সেপ্টেম্বর শেরে বাংলা নগর থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
উল্লেখ্য, অস্ত্র মামলায় গত বছর ১২ অক্টোবর পাপিয়া ও তার স্বামীকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকা মহানগর আদালত। এছাড়া, গুলি উদ্ধারের ঘটনায় তাদের আরও সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।