আ.লীগ নেতা ও ছাত্রী হত্যা : শুটার মাসুম ৭ দিনের রিমান্ডে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৩৪ পিএম, ২৮ মার্চ,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০১:০০ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
ঢাকার মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফনান হত্যায় মাসুম মোহাম্মদকে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। ডিবি বলেছে, এই মাসুম ছিলেন ‘শুটার’ (যিনি জাহিদুলকে গুলি করেন)। তাঁকে ভাড়া করা হয়েছিল।
আজ সোমবার (২৮ মার্চ) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অতিরিক্ত অ্যাডিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) তোফাজ্জল হোসেন এই আদেশ দেন।
এই তথ্য নিশ্চিত করেন ওই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন। এর আগে মাসুমকে আদালতে হাজির করে ১৫ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আসামি মাসুমকে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন।
গতকাল ঢাকায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ডিবির পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাহিদুলকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন মাসুম। এ ছাড়া সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এই হত্যায় মাসুমের অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। বগুড়া থেকে মাসুমকে গ্রেপ্তার করা হয়। জাহিদুল হত্যার পরিকল্পনাকারী ব্যক্তিরা ঘটনার পাঁচ দিন আগে ‘শুটার’ মাসুমকে ভাড়া করেন বলে জানিয়েছে ডিবি।
গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর ব্যস্ততম সড়ক শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় জাহিদুলকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় এলোপাতাড়ি গুলিতে রিকশারোহী কলেজছাত্রী সামিয়া নিহত হন।
ডিবি জানায়, মুগদা-গোড়ান এলাকার শরীফ হত্যাসহ চার-পাঁচটি মামলার আসামি এই মাসুম। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ডিবিকে বলেন, কেবল টাকার জন্য তিনি এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত হন। গ্রাফিক্স আর্টস নিয়ে লেখাপড়া করে মুগদা এলাকায় কেব্ল টিভির ব্যবসা করতেন মাসুম। তাঁর স্ত্রী ও সন্তান আছে। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে।