নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশানসিক ভবনে তালা, শিক্ষার্থী নির্যাতনে ফের আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১৬ এএম, ১৪ মার্চ,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০২:০৯ এএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় নির্যাতনকারীদের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে অবস্থান ও ক্যাম্পসে বিক্ষোভ করেছে সহপাঠি শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ ভবনের মূল ফটক আটকে অবস্থান করেন সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান নেয়। এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের ওপর যারা নির্যাতন করে তারা সন্ত্রাসী। বার বার আমাদের প্রশাসন তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে আসছে। আমাদের দাবি, এবার যেন কোনো প্রকার ছাড় দেয়া না হয়। আমরা নির্যাতনকারীদের স্থায়ী বহিষ্কার চাই।
আন্দোলন চলাকালে সেখানে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক তপন কুমার সরকার, অগ্নিবীণা হলের প্রভোস্ট কল্যানাংশু নাহা, সহকারী প্রক্টর ইরফান আজিজ প্রমুখ।
ছাত্র উপদেষ্টা তপন কুমার সরকার বলেন, ‘আমরা তোমাদের দাবির সাথে একমত পোষণ করছি এবং এ ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি। হল প্রশাসন ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে যা ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিবে।’
অগ্নিবীণা হল প্রভোস্ট বলেন, ‘আমি গতকাল সারাদিন অসুস্থ শিক্ষার্থীর পাশে ছিলাম। তার সিটিস্ক্যান ও এক্সরে রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরা আশঙ্কামুক্ত বলে নিশ্চিত করেছেন। আমরা সার্বক্ষণিক তার খোঁজখবর রাখছি এবং বিষয়টি সমাধানে অতি দ্রুতই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে আশা রাখি।’
এর আগে, শনিবার (১২ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নিবীণা হলের ২০৪ নম্বর কক্ষে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থী সাগর চন্দ্র দে’কে র্যা গিংয়ের নামে নির্যাতন করা হয়েছে। করেছে চারুকলা বিভাগের তিন শিক্ষার্থী। র্যাগিংয়ের শিকার শিক্ষার্থী সাগর চন্দ্র দে মাথা ও মুখমণ্ডলে গুরুতর আঘাত পেয়ে এখন ময়মনসিংহ মেডিকেলে ভর্তি আছেন। তার বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্বিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন এধরনের ঘটনায় বিব্রত বিশ্ববিদ্যালয়র প্রশাসন এবং শঙ্কিত নবীন শিক্ষার্থীরা। কারন এর আগে ছাত্রলীগ না করার অভিযোগে (৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী ওয়ালিদ নিহাদকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় ৪ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারসহ আরও ৭ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আবারও শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা ঘটল।