কাউন্সিলর-আ’লীগ নেতাদের তালিকায় নাম থাকলে মিলবে টিসিবির পণ্য
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫১ এএম, ৫ মার্চ,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:১৪ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
রমজান মাসে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য পাবেন খুলনার ৬৫ হাজার উপকারভোগী। আর এই তালিকা চূড়ান্ত করবেন ওয়ার্ড কাউন্সিলররা। প্রত্যেক ওয়ার্ডে উপকারভোগী বাছাই চূড়ান্ত করতে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে প্রধান করে কমিটিও গঠন করা হয়েছে। খুলনা সিটি করপোরেশনের (খুসিক) ১৫তম সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার নগর ভবনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। কাউন্সিলর ছাড়াও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরাও এই তালিকা প্রণয়ন করবেন বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। তবে সিটি করপোরেশনের এ সিদ্ধান্তে হতাশ হয়ে পড়েছেন নগরীর খেটেখাওয়া, অসহায় ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা। তারা বললেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলরা আর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা তাদের কাছের লোকদের আগে দেবেন। তারপর যদি কিছু থাকে তাহলে অন্যরা পাবেন। এক্ষেত্রে প্রকৃত অসহায় ও নিম্নবিত্তরা টিসিবির পণ্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলেয়া বেগম, রাহেলা এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কুলসুম, গোলাম রসুল ও মোবারক বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির সময়ে টিসিবিই ছিল তাদের ভরসা। কিন্তু এখন সেই টিসিবির পণ্য যদি তালিকা করে দেয়া হয় তাহলে করোনার সহায়তা দেয়ার সময় যেমন মুখ চিনে দেয়া হয়েছিল এক্ষেত্রেও তেমন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে খুলনা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ আমিনুল ইসলাম মুন্না বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের নেতাকর্মীরা মিলে এ তালিকা প্রণয়ন করা হবে। এখানে প্রকৃত অসহায় ও নিম্নবিত্তদের বঞ্চিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না। মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, এ ধরনের জনহিতকর কর্মসূচি এর আগে কোনো সরকারকে গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। জনহিতকর এ কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।