গ্রেপ্তারের আগে আসামি-পুলিশের ফোনালাপ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১৯ পিএম, ৮ জানুয়ারী,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৫৪ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
মাদক উদ্ধারের মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তারের আগে দারুস সালাম থানার তৎকালীন এসআই রায়হানুজ্জামানের (বর্তমানে উত্তরা পশ্চিম থানায় কর্মরত) সঙ্গে আসামির ফোনালাপের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারকে এক মাসের মধ্যে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
মামলার আসামি সোহাগকে তিন মাসের জামিন দিয়েছেন আদালত। সোহাগের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান রানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
২০১৮ সালের ৯ জুন সোহাগ নামের ওই বাস ম্যানেজারের বিরুদ্ধে হেরোইন ও ২১ পিস ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দেওয়া হয়। কিন্তু আদালতে উপস্থাপন করা নথিপত্রে দেখা যায়, সোহাগের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের আগে এসআই রায়হানুজ্জামান তাকে ডেকে এনেছিলেন। ওই মামলায় জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন জানান সোহাগ।
তার জামিন আবেদনের শুনানি করতে গিয়ে হাইকোর্টে এ সংক্রান্ত গ্রামীণফোনের একটি কল লিস্ট দাখিল করা হয়। সেই কল লিস্টে পর্যালোচনা করে এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে গ্রেপ্তারের আগে আসামিকে ফোন দেওয়ায় ওই ঘটনার বিষয়ে সশরীরে ব্যাখা দিতে পুলিশ কর্মকর্তাকে তলব করেন আদালত। সে আদেশের ধারাবাহিকতায় রায়হানুজ্জামান গতকাল আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেন এবং নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
রায়হানুজ্জামান তার ব্যাখ্যায় হাইকোর্টকে বলেন, আসামি সোহাগ তার সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। সোহাগ তাকে বিভিন্ন জায়গার মাদকের তথ্য দিতেন। কিন্তু সোহাগের সঙ্গে মাদককারবারিদের তথ্য দেওয়া নিয়ে বিবাদ সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে সোহাগ নিজেই মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রায়হানুজ্জামান নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে হাইকোর্টকে বলেন, আসামির সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছিল, যা সত্য। বিভিন্ন তথ্য নেওয়ার জন্য তাকে ফোন করা হয়েছিল। তবে এমন ফোনালাপ করা উচিত হয়নি। আমি আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থী।