ঢাকায় ২০২১ সালে বায়ুদূষণ বেড়েছে ১০ ভাগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০১ এএম, ৬ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৫৫ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
রাজধানীতে ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে গড় বায়ুদূষণ বেড়েছে ৯ দশমিক ৮ ভাগ। গড়ে ২০২০ সালে বায়ুমান সূচক (একিউআই) অনুযায়ী দূষণের মাত্রা ছিল ১৪৫। যা ২০২১ সালে এসে হয় ১৫৯ দশমিক ১। স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)-এর জরিপে এ তথ্য জানা গেছে। ঢাকার মধ্যে আব্দুল্লাপুর, মিরপুর ও শাহবাগকে সবচেয়ে দূষিত এলাকার তালিকায় রাখা হয়েছে। পরিবেশবাদীরা বলছেন, একটু উদ্যোগ নিলে আর সচেতন হলেই আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দূষণের মাত্রা কমিয়ে আনা সম্ভব।
জরিপে বলা হচ্ছে, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বায়ুমান সূচকের (একিউআই) গড় মাত্রা ছিল ২৩৫ দশমিক ১। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বেড়ে দাঁড়ায় ২৬১ দশমিক ৬। যা দুই বছরের হিসাবে ১১ দশমিক ৩ ভাগ বেশি। একইভাব ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল ২২০ দশমিক ৫। ২০২১ সালে বেড়ে হয়েছে ২৩১ দশমিক ৪।
ক্যাপসের পরিচালক ও স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, আমরা ঢাকার ১০টি এলাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা জরিপ করছি। এরমধ্যে সবচেয়ে দূষিত এলাকা আব্দুল্লাহপুর। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে মিরপুর। তৃতীয় শাহবাগ। তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে অনেক উন্নয়ন কাজ থেমে ছিল। সেসব আবার পুরোদমে শুরু হয়েছে। পাশাপাশি যেসব গাড়ি এতদিন বাড়িতে পড়েছিল সেগুলো কোনো সার্ভিসিং ছাড়াই রাস্তায় নেমেছে। এতেও দূষণ বেড়েছে।
বাপার নির্বাহী সহ-সভাপতি আব্দুল মতিন বলেন, ‘মূলত চারটি কারণে বায়ু দূষণ বাড়ছে- প্রথমত, উন্নয়ন কাজ। দ্বিতীয়ত- ব্যক্তিগত নির্মাণকাজ। তিন নম্বরে আছে ইটভাটা ও চার নম্বরে শহর পরিষ্কার করতে গিয়ে ধুলো ওড়ানো। তিনি আরও বলেন, ‘করোনার পর সরকারি উন্নয়ন কাজগুলো দ্রুতগতিতে চলছে। আমরা উন্নয়নবিরোধী নই। কিন্তু এ কাজ করতে গিয়ে যাতে দূষণ না ঘটে সে ব্যবস্থা যদি উন্নত বিশ্বের দেশগুলো নিতে পারে আমরা কেন পারবো না। ব্যক্তিগত কনস্ট্রাকশন কাজগুলো করার ক্ষেত্রেও দরকার সচেতনতা।’
আব্দুল মতিন বলেন, ‘এ ছাড়া ইটভাটাগুলোতে নিম্নমানের কয়লা ব্যবহার বন্ধ করা জরুরি। কয়লায় এত সালফার থাকে যে, তা বাতাসে মিশে বায়ুদূষণ ঘটাচ্ছে ব্যাপক হারে। এদিকে রাস্তাঘাট ঝাড়ু দেওয়া, দোকানপাট পরিষ্কারে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হলেও ধুলার সমাধান করা সম্ভব।’