নারী সার্জেন্টের পা হারানো বাবার বিরুদ্ধেই জিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২৪ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১২:১১ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
প্রাইভেটকারচাপায় পা হারানো সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের বাবা মনোরঞ্জন হাজংয়ের ওপরই দুর্ঘটনার দায় চাপিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন গাড়িচালক সাঈদ হাসান। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, তার গাড়িটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়নি। বরং বেআইনিভাবে উল্টো দিক থেকে মনোরঞ্জনই তার গাড়িতে লাগিয়ে দেন। উল্টোপথে মোটরসাইকেল চালানোর জন্য এ দুর্ঘটনার দায়দায়িত্ব মনোরঞ্জনের ওপরই বর্তায়।
সাঈদ হাসানের জিডিটি গত ১৪ ডিসেম্বর করা হয় বলে জানা যায়। দুর্ঘটনার পর অপ্রচার, মিথ্যা মামলা, মানসিক নির্যাতন ও অর্থের জন্য চাপ দেওয়ায় তিনি এ আইনি ব্যবস্থা নিয়েছেন বলেও দাবি করা হয় জিডিতে।
ঘটনার বর্ণনায় সাঈদ হাসান উল্লেখ করেন, গত ২ ডিসেম্বর রাতে মহাখালী ফ্লাইওভার থেকে নেমে চেয়ারম্যানবাড়ির ইউলুপ ঘুরছিলেন তিনি। এ সময় উল্টো দিক থেকে এসে মনোরঞ্জনের মোটরসাইকেলটি তার গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এতে তার গাড়িটি সেখানেই প্রাচীরে লেগে যায় এবং প্রাণহানির ঘটনার সম্মুখীন হয়। এতে তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও তার স্ত্রীর ডান হাতে তিনটি আঙুল ফ্যাকচার (ভেঙে) হয়।
জিডিতে সাঈদ হাসান আরও দাবি করেন, সংঘর্ষের পর মনোরঞ্জন হাজংকে গ্রিন লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন তিনি। সেখানে দুই দফায় আর্থিক সহযোগিতাও করেছেন। পরে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে অপারেশনের ব্যবস্থা, কেবিন বরাদ্দ এমনকি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করাসহ যাবতীয় বন্দোবস্ত করেন। জিডিতে আরও বলা হয়, দুর্ঘটনায় তার (সাঈদ) কোনো দোষ না থাকায়, ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেয়নি আর গাড়িও আটক করেনি।
জিডির তদন্তের দায়িত্বে থাকা বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর গাজী বলেন, ‘জিডির অভিযোগের বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি।’
এদিকে ভুক্তভোগীর মেয়ে সার্জেন্ট মহুয়ার দাবি, দুর্ঘটনার বিচার চেয়ে প্রথম থেকেই পুলিশ কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন তিনি। কিন্তু ঘটনার ১৪ দিন পর থানাপুলিশ অজ্ঞাত আসামি দিয়ে মামলা নেয়। এর কারণ হিসেবে ওই নারী সার্জেন্ট অভিযোগ করেন, সাঈদের বাবা একজন প্রভাশালী। তাই দুর্ঘটনায় মামলা ও জিডি নিয়ে এত কিছু হচ্ছে।