বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের কাঠামো আরো শক্তিশালী করা প্রয়োজন- মিলার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৯ পিএম, ৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৩৬ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করে ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার বলেছেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সাফল্যের জন্য গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের কাঠামো আরো শক্তিশালী করা প্রয়োজন।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক সংলাপে ভার্চুয়াল বক্তব্যে মার্কিন দূত বলেন, গণতন্ত্র তখনই কার্যকর হয় যখন সব মানুষকে সম্পূর্ণভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাদের অধিকার, বাকস্বাধীনতা এবং ভোটের অধিকার সুরক্ষিত থাকে।
কসমস ফাউন্ডেশন চলমান অ্যাম্বাসেডর লেকচার সিরিজের ‘বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক: ভবিষ্যতের পূর্বাভাস’ শীর্ষক ওই সংলাপ আয়োজন করেছিল। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখের কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান।
প্রখ্যাত কূটনীতিক এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) বিশিষ্ট ফেলো ও বোর্ড সদস্য সাবেক রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবহান, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (বিআইপিএসএস) প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল (অব.) আনম মুনিরুজ্জামান, কসমস ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ইমেরিটাস, সাবেক রাষ্ট্রদূত (অব.) তারিক এ করিম এবং প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।
দীর্ঘ বক্তৃতায় মার্কিন দূত বলেন, বাংলাদেশ অত্যন্ত স্থিতিস্থাপকতা, প্রতিশ্রুতি এবং সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে চলা একটি দেশ, কিন্তু অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে গণতান্ত্রিক উন্নয়নেও এগিয়ে যেতে হবে এবং গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারকে ‘পারস্পরিকভাবে শক্তিশালী করতে শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ, সব নাগরিকের জন্য মানবাধিকার এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখতে অবিরাম কাজ করতে হবে।
মিলার বলেন, একটি বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে তিনি মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগের বিষয়গুলো সর্বোচ্চ পর্যায়ে উত্থাপন করেছেন। বাংলাদেশে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র শক্তিশালী করা তার কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে মনে করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে সমর্থন করে যাতে দেশের নাগরিকদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সংবিধানের আলোকে ভোটার এবং অংশগ্রহণকারীদের সুরক্ষাসহ গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ারও সমর্থক।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য সংবাদপত্র এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা অত্যাবশ্যক।
গণমাধ্যম, সুশীল সমাজের সদস্য, বিরোধী দল এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের অবশ্যই ভয় ছাড়াই তাদের মতামত প্রকাশ করতে এবং পরিবর্তনের পক্ষে সহায়তা করতে হবে। ভিন্নমতের কণ্ঠস্বর শুনতে হবে এবং সম্মান করতে হবে। দুটি দেশ ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব বজায় রেখে এই উদ্বেগগুলোর বিষয়ে যোগাযোগের মাধ্যমে মতবিরোধ করতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে ইফতেখার চৌধুরী বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পর্যালোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, পারস্পরিক সুবিধার জন্য এগুলোকে আরো প্রশস্ত ও গভীর করা দরকার। তিনি বলেন, বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মিস্টার চৌধুরী বলেন, যেহেতু বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উত্তরণ করেছে সেই জন্য বাজারে প্রবেশাধিকার প্রাপ্তিতে যুক্তরাষ্ট্রে সমর্থন এটিকে অর্থনৈতিকভাবে বৃদ্ধি ও অগ্রগতিতে সহায়তা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।