প্রশাসনের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে রাজপথে নামা ছাড়া মুক্তির পথ নেই : গয়েশ্বর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪৯ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২০ | আপডেট: ০১:০০ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
প্রশাসনের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে রাজপথে নামা ছাড়া মুক্তির অন্যকোন পথ খোলা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
আজ বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে টাঙ্গাইলে গোপালপুর পৌর মহিলা দলের সভানেত্রী হাবিজা বেগমের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা ও সারাদেশে নারী-শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজ ৩১ ডিসেম্বর ২০২০; আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২১। প্রতিদিন যদি আমরা প্রতিবাদ করি তাতেও আজকে যা চলছে তা কখনোই কমবে না, উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। সেই কারণেই আজকে শুধু প্রতিবাদ আর মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে আমাদের মুক্তির পথ খোলা নেই। আমাদের মুক্ত হতে হলে লড়াই করতে হবে। সেজন্য আমি বলব, দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করার দায়িত্ববোধ থেকে আজকে আমাদেরকে ঠিক করোনার মতো হাসিনাকে উপেক্ষা করে, প্রশাসনের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে আমাদেরকে ছোটাছুটি করতে হবে মাঠে-ময়দানে। তাছাড়া আমাদের পরিত্রাণ পাওয়ার অন্যকোন পথ নাই।
তিনি বলেন, আসুন সরকারটাকে নামানোর জন্য একটু চেষ্টা করি। চেষ্টা করলে সফলও হতে পারি, না হলে ব্যর্থও হতে পারি। কিন্তু চেষ্টা না করে সফলও হইলাম না ব্যর্থও হইলাম না। আর সবসময় ঈশ্বরের ওপর, আল্লাহর ওপরে ভরসা করলাম- আল্লাহ ছাড়া আর গতি নাই। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, কাপুরুষ এবং মূর্খরা অদৃষ্টের ওপরে নির্ভর করে। আর বীর পুরুষরা নিজেদের অদৃষ্ট নিজেরা গড়ে তোলে। আসুন- এই বিএনপি এই জাতির অদৃষ্ট কিংবা জাতির ভাগ্য। যেমনি যার নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিলো, ঠিক আজকে সেই বিএনপিতে বেগম খালেদা জিয়া আছেন, তারেক রহমান আছেন। তাদের নেতৃত্বে আমরাও বীর পুরুষের মতো আমাদের ভাগ্য, দেশের ভাগ্য, গণতন্ত্রের ভাগ্য, নারী ও শিশুদের আগামী দিনের ভাগ্য আমরাই প্রতিষ্ঠিত করবো।
মহানগর দক্ষিণ সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেন, তারা শেখ হাসিনাকে আজীবনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বানাতে চান, বিএনপির কারণে পারছেন না। মধ্যপ্রাচ্যে যেমন শেখ ডাইনেস্টি আছে, এক শেখ যান আরেক শেখ আসেন। বাংলাদেশেও ওনারা শেখ ডাইনেস্টি প্রতিষ্ঠা করতে চান। নামের সাথে তো শেখ আছে। খালি একটু আইনটা পাস করলেই হয়। বিএনপির কারণে তারা সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকারকে হটানোর আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।
বিএনপি করার কারণে হাবিজা বেগমকে জীবন দিতে হয়েছে। আজকে এই সমাবেশ থেকে আমরা বিচার চাইব, বিচার আমরা পাবো না। এই স্বৈরাচারি সরকারের কাছে নারী হত্যার বিচার চেয়ে লাভ নেই, নারী ধর্ষণের বিচার চেয়ে লাভ নেই, শিশু হত্যার বিচার চেয়ে লাভ নেই, কোনো হত্যার বিচার চেয়ে লাভ নেই, কোনো অন্যায়ের বিচার চেয়ে লাভ নেই। কারণ সব অন্যায়কারীর আশ্রয়স্থল হচ্ছে ওই তেজগাঁওয়ের প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়।
আয়োজক সংগঠনের সদস্য মীর সরফত আলী সপুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, মহিলা নেত্রী আরিফা সুলতানা রুমা প্রমুখ।