ঢাকার ২৬ খালের দায়িত্ব নিলো দুই সিটি করপোরেশন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪৫ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২০ | আপডেট: ০৬:১৭ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা ওয়াসার নিয়ন্ত্রণে থাকা রাজধানীর ২৬টি খালের দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে রূপসী বাংলা গ্রান্ড বলরুমে আজ বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) ওয়াসা, ডিএনসিসি ও ডিএসসিসির মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে এসব খাল হাস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ঢাকার ২৬টি খাল ওয়াসার কাছ থেকে ডিএনসিসি এবং ডিএসসিসিকে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ওই দুটি সংস্থা করবে। এতে নগরে আর জলাবদ্ধতা হবে না। তিনি বলেন, ১৯৮৮ সালের আগে ঢাকার খালগুলো তদারকি করতো তৎকালীন ঢাকা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন। কিন্তু কোনো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওই খালগুলো ওয়াসার কাছে গেল তার সঠিক কারণ জানা যায়নি। তাই এতদিন খালগুলো রক্ষণাবেক্ষণে অনেকটা সমন্বয়হীনতা ছিল।
ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ইতোমধ্যে জিরানি খাল, শ্যামপুর খাল, মান্ডা খাল থেকে সব অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে। আগামী ২ জানুয়ারি থেকে ওই তিনটি খাল এবং দুটি বক্স কালভার্ট থেকে আবর্জনা অপসারণের কাজ শুরু করা হবে। আগামী মার্চের মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হবো। পরে জুনের মধ্যে ডিএসসিসির কালুনগর খালসহ বাকি খালগুলো বর্জ্যমুক্ত করা হবে।
তাপস বলেন, ডিএসসিসির খালগুলো বর্জ্যমুক্ত করার পর খাল পাড়ের সৌন্দর্য বাড়ানো হবে। ইতোমধ্যে ৯০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। শিগগিরই তা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব আকারে পাঠানো হবে। প্রস্তাবটি পাস হলে নাগরিকেরা তার সুবিধা পাবেন। আশা করি আসন্ন বর্ষায় ঢাকায় আর জলাবদ্ধতা হবে না। স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর রাজনৈতিক নেতৃত্বে ওই কার্যক্রম সফল করা হবে।
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এসব খালের সৌন্দর্য বাড়াতে ডিএনসিসিও প্রকল্প নিয়েছে। ডিএনসিসির অধীনে থাকা সবগুলো খাল তারাও পরিষ্কার করেছে। তাই চলতি বছর নগরে জলাবদ্ধতা হবে না।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।