দেশে গণতন্ত্রের বিজয়কেতন উড়েছে ৩০ ডিসেম্বর : তথ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৮ এএম, ৩১ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২০ | আপডেট: ০১:০০ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি আবারও গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু জনগণ তা প্রতিরোধ করবে। একই সাথে জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য যেকোনো অপতৎপরতা কঠোরভাবে প্রতিহত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে বিজয়ের মাস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সভাপতি এ কে এম হামিদের সভাপতিত্বে ইঞ্জিনিয়ার কবীর হোসেন ও ইঞ্জিনিয়ার শামসুর রহমান সভায় বক্তব্য রাখেন।
মন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন আজকে ৩০ ডিসেম্বর। ২০১৮ সালের এই দিনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ধস নামানো বিজয়ের মাধ্যমে আমরা জনগণের রায় নিয়ে সরকার গঠন করেছি। সেদিন ষড়যন্ত্র ছিল নির্বাচনকে বানচাল করা। এজন্য বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না এই নিয়ে তারা খোলাসা করে শুরু থেকেই কিছু বলেনি। পরবর্তীতে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল অংশগ্রহণ করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং একই সাথে হাঙ্গামা বাধিয়ে নির্বাচনকে ভন্ডুল করা। এটিই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। সেটি করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। গণতন্ত্রের বিজয়কেতন উড়েছে ৩০ ডিসেম্বর। সে জন্য আজকে গণতন্ত্র বিজয় দিবস।
আর বিএনপি যেহেতু সেদিন নির্বাচনকে ভন্ডুল করতে চেয়েছিল কিন্তু করতে ব্যর্থ হয়েছে, সে জন্য তারা দিবসটিকে ভিন্নভাবে পালন করছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, প্রকৃতপক্ষে তারা সেদিন গণতন্ত্রকে ব্যর্থ করে দিতে চেয়েছিল। সে জন্যই তারা আজকে ভিন্ন নাম দিয়ে দিবসটি পালন করছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, সারা দেশে তারা আজকে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সাথে তারা হাঙ্গামা বাধিয়েছে। অর্থাৎ তারা আবার দেশে একটি গন্ডগোল পাকাতে চায়। বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালের কথা ভুলে যান। বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের আর কোনোভাবেই সেই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার সুযোগ দেবে না। তখন আপনারা জনগণের ওপর যেভাবে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করেছিলেন, হাঙ্গামা বাধিয়েছিলেন, আবার সেই অপচেষ্টা করলে জনগণ আপনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে এবং সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তাবিধানের জন্য যেকোনো দেশবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ড কঠোরহস্তে প্রতিহত করতে বদ্ধপরিকর।
দেশবিরোধী, প্রগতিবিরোধী এবং মৌলবাদী অপশক্তিকে মোকাবিলা করতে, তাদের হিংস্র থাবা বিস্তাররোধ করতে দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বৃদ্ধি করতে হবে উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের উদ্দেশে ড. হাছান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরার জন্য জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দেশব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের ধারক-বাহক সংগীত ও শিল্পকলা মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। আপনাদের সংগঠনকে জেলা পর্যায়ে এই কাজের নির্দেশনা দিন, দেখাদেখি অন্যরাও এগিয়ে আসবে।