সরকারকে শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ২১ নভেম্বর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৪৩ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
অর্ধেক ভাড়া দিতে চাইলে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া বাসচালকের সহকারীকে গ্রেপ্তার ও হাফ পাস (অর্ধেক) ভাড়া নির্ধারণে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে আজকের সড়ক অবরোধ তুলে নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার (২১ নভেম্বর) দুপুর ১২টার পর এই দুই দফা দাবি পূরণের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক শ শিক্ষার্থী।
এর আগে সকালে গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাস ভাড়া নির্ধারণের দাবিতে রাজধানীর বকশীবাজার মোড় অবরোধ করেন বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজসহ রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক শ শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গতকাল শনিবার রাজধানীর শনির আখড়ায় ঠিকানা পরিবহনের একটি বাসে বদরুন্নেসা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী অর্ধেক ভাড়া দিতে চাইলে তাঁকে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছেন বাসচালকের সহকারী। শিক্ষার্থীরা এর বিচারের দাবি জানান।
ধর্ষণের হুমকির বিচার ও হাফ পাস ভাড়ার দাবিতে রোববার সকালে বদরুন্নেসা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করতে চাইলে আগে থেকেই কলেজফটকে অবস্থানে থাকা পুলিশ বাধা দেয়। পরে তাদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বাকি ৬ কলেজের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন। অবরোধের কারণে ওই সড়কের আশপাশের সড়কগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
সকাল ১০টার কিছুক্ষণ পরে কয়েক শ শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে বকশীবাজার মোড়ে গিয়ে রাস্তা আটকে অবস্থান নেন। এরপর ধর্ষণের হুমকি দেওয়া বাসচালকের সহকারীকে গ্রেপ্তার ও হাফ পাস (অর্ধেক) ভাড়া নির্ধারণে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে দুপুর ১২টার পর সড়ক অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের কারণে চানখাঁরপুল থেকে বকশীবাজার এবং বকশীবাজার, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ও বুয়েট অভিমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। শিক্ষার্থীরা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বলে স্লোগান দেন। তাঁদের হাতে ‘হাফ পাস আমাদের অধিকার’, ‘এই হলো দেশের কঠোর বাস্তবতা, নিজের অধিকার চাইতে মেলে ধর্ষণের বার্তা’ প্রভৃতি লেখা প্ল্যাকার্ড ছিল।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের অন্যান্য দাবি
১. শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হয়রানিমূলক আচরণ করা যাবে না
২. কলেজের সামনে ভালোভাবে গাড়ি থামাতে হবে
৩. মহিলা সিট নিশ্চিত করা
৪. সম্মানের সঙ্গে গাড়িতে উঠার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা
৫. মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
৬. প্রত্যেক বাসস্টপে (রায়েরবাগ, শনিরআখরা, কাজলা, সাইনবোর্ড) সবধরনের বাস থামাতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের উঠাতে হবে