শ্যামলীতে শোরুমে ডাকাতি, গ্রেপ্তার- ৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪৭ পিএম, ২৪ অক্টোবর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১০:০৩ এএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
শ্যামলীতে অবস্থিত ইডেন অটো’স মোটরসাইকেল শো-রুমে ডাকাতির ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে র্যাব। মূলহোতা মো. জহিরুল ইসলাম জহিরের নেতৃত্বে ডাকাতি সংঘটিত হয়। তারা চূড়ান্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগে শোরুম কেন্দ্রিক রেকি করে বলে জানিয়েছেন র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
আজ রবিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে কারওয়ানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
এর আগে শনিবার (২৩ অক্টোবর) দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এবং সাভারের ধামরাই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাত চক্রের মূলহোতা মো. জহিরুল ইসলাম ওরফে জহিরসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ৪টি চাপাতি, শো-রুম থেকে লুট করা ১,৯৩,০০০ টাকা জব্দ করা হয়।
খন্দকার আল মঈন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, তারা মোহাম্মদপুর কেন্দ্রিক একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্য। তাদের সদস্য সংখ্যা ৮-১০ জন। তারা সবাই এই এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ অস্থায়ীভাবে বসবাস করেছে এবং পরস্পরের পরিচিত।
চক্রটি ঢাকার মোহাম্মদপুর, বসিলা, শ্যামলী এবং আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নাম ভাঙিয়ে কয়েক বছর ধরে ব্যবসায়ী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, নির্মাণাধীন ভবন মালিকদের কাছে চাঁদাবাজি করে আসছে। দাবীকৃত চাঁদা না দিলে তারা ভুক্তভোগীদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে ভয়-ভীতি দেখায়। তারপরও কেউ চাঁদা দিতে অসম্মত হলে তারা ভুক্তভোগীদের বাসাবাড়ী অথবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হামলা ও ডাকাতি করে থাকে।
তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের নামে থানায় একাধিক চুরি, ডাকাতি এবং চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। এছাড়াও তারা এলাকায় মাদক ও চোরাই অটোরিকশার ব্যাবসা, চুরি ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত।
খন্দকার মঈন বলেন, কয়েক মাস ধরে একজন পলাতক সন্ত্রাসীর নামে ইডেন অটোস নামের প্রতিষ্ঠানটি’তে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন গ্রেপ্তারকৃতরা। চাঁদা না দেওয়ায় তারা বিভিন্নভাবে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীদের হুমকি দিতে শুরু করে। কিন্তু এতেও ব্যর্থ হয়ে তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটিতে ডাকাতির পরিকল্পনা করে।
গত ১১ অক্টোবর ঢাকা উদ্যান এলাকায় জসিমের বাড়িতে জহির, জাহিদ, নয়ন, খায়রুল এবং রাকিব দেখা করে ইডেন অটো শো-রুম ডাকাতি করার পরিকল্পনা করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় শো-রুম রেকি করে তারা। ডাকাতির জন্য জসিম ও জহির ঢাকা উদ্যান কাঁচাবাজার থেকে চারটি চাপাতি কেনেন।
১২ অক্টোবর পুনরায় ঢাকা উদ্যানে জড়ো হয়ে তারা শো-রুমের সামনে আসে এবং শো-রুমের লোকজন ও আশে পাশের লোকজনদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে। পরে তারা চারজন চারটি চাপাতি নিয়ে শো-রুমে প্রবেশ করে। গ্রেপ্তারকৃত জহির শো-রুমে প্রবেশ করেই ত্রাস সৃষ্টি করতে চাপাতি দিয়ে ম্যানেজার সবুজকে আঘাত করে এবং রাকিব চাপাতি দিয়ে শো-রুমের মোটর টেকনিশিয়ান হাসান’কে আহত করে। এ সময় দলের অন্য সদস্যরা শো-রুমে ভাঙচুর করে। জসিম শো-রুমের বাইরে অবস্থান করে ওয়াচম্যান হিসেবে কাজ করেন।
খন্দকার মঈন জানান, গ্রেপ্তার হওয়া জাহিদ চাপাতি নিয়ে শো-রুমের দ্বিতীয় তলায় গিয়ে কাঁচের দরজা ভেঙ্গে ক্যাশিয়ারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নগদ টাকা লুট করে। ৫-৬ মিনিটের ডাকাতি শেষে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।