কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাসের জামিন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৪ এএম, ২২ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:২০ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
রাজধানীর সবুজবাগ থানার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের আদালতে চিত্তরঞ্জনের আইনজীবী জামিনের জন্য আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। পরে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মাহমুদা আক্তারের আদালতে চিত্তরঞ্জন আত্মসমর্পণ করে জামিনের জন্য আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর ১৪ অক্টোবর আসামির জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আদালতে এসে আবারও আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের জন্য আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরার আদালত আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ১১ সেপ্টেম্বর সবুজবাগ থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক নারী চিত্তরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। এরপর ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদের আদালত মামলাটির এজাহার গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৪ অক্টোবর ধার্য করেন।
ওই নারী নিজেকে একজন গণমাধ্যমকর্মী বলে দাবি করেন এজাহারে উল্লেখ করেন, সবুজবাগ কালীবাড়ি রাস্তা সংলগ্ন ওই নারীর শ্বশুরের দোকান রয়েছে। তার পাশের চা দোকানদার নিজের দোকান সংস্কার করতে চাইলে কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস গরিব চা দোকানদারের কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন। চাঁদার ব্যাপারে সত্যতা যাচাই করার জন্য ওই নারী রাত পৌনে ৮টার দিকে চিত্তরঞ্জন দাসকে মোবাইলে ফোন দেন। চিত্তরঞ্জন দাস তাকে রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে কাউন্সিলরের রাজারবাগ কালীবাড়ি কার্যালয়ে যেতে বলেন। তবে ঘটনাটি ঠিক কত তারিখে ঘটেছে বাদী তা এজাহারে উল্লেখ করেননি।
মামলার এজাহারে তিনি আরও উল্লেখ করেন, রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই নারী স্বামীসহ সেখানে যান। চাঁদার বিষয়ে জানতে চাইলে চিত্তরঞ্জন দাস দুই-চারটি কথা বলে তাকে পাশের কক্ষে বসতে বলেন। এর একটু পর চিত্তরঞ্জন দাস ওই কক্ষে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন। ওই নারীকে বসা থেকে উঠে দাঁড়ানোর জন্য বলেন। ওই নারী উঠে দাঁড়ালে চিত্তরঞ্জন দাস তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। নানা রকম অঙ্গভঙ্গি করে তাকে কু-প্রস্তাব দেন। মান-সম্মানের ভয়ে ওই নারী কোনও চিৎকার করেননি বলে এজাহারে উল্লেখ করেন। চিত্তরঞ্জন দাস তাকে পরের দিন আবারও সেখানে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। ওই নারী কোনও রকম নিজেকে রক্ষা করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।