বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়হীন উন্নয়ন কার্যক্রম ঢাকাবাসীর দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে - তাপস
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩৬ এএম, ১৪ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৪৬ এএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
ঢাকায় বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়হীন ও অপরিকল্পিত উন্নয়ন কার্যক্রমে জনদুর্ভোগ বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ বুধবার সকালে নগরীর কমলাপুর রেলস্টেশন হতে টিটি পাড়া পর্যন্ত জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে মেয়র এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে নিজস্ব অর্থায়নে এরই মধ্যে প্রায় ১০৩ কোটি টাকার কার্যক্রম আরম্ভ করেছি। এই অর্থবছরেও এই খাতের জন্য প্রায় ৭৪ কোটি টাকা বাজেট সংস্থান রেখেছি। কমলাপুর রেলস্টেশনের আশপাশের জায়গায় ব্যাপকভাবে জলাবদ্ধতা থাকে। জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা কার্যক্রম আরম্ভ করেছি। বড় নর্দমাগুলোর সংযোগ করছি, যা আগে ছিল না। এখান থেকে বক্স কালভার্ট পর্যন্ত সংযোগ দেয়া হবে।’ মতবিনিময়কালে শ্যামপুর-কদমতলী এলাকায় পদ্মা সেতুর রেল সংযোগের কারণে বিগত বেশকিছু দিন ধরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে, শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্যাসের লাইন বন্ধ রয়েছে, এ বিষয়ে মেয়র কোনো পদক্ষেপ নিবেন কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তাপস বলেন, ‘এটা খুবই অনাকাক্সিক্ষত এবং দুঃখজনক। জলাবদ্ধতা নিরসনে যে কার্যক্রম পরিদর্শনে এসেছি এখানেও নতুন করে এমআরটি লাইন স্থাপনের জন্য তারা আবেদন করেছে। এখানে আমাদের পরিকল্পনার সাথে তাদের পরিকল্পনা সাংঘর্ষিক। তেমনই শ্যামপুর শিল্পাঞ্চলের জন্য আমরা বৃহৎ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, যেখান থেকে পানি নিষ্কাশন হতো পদ্মা রেলসেতুর কার্যক্রমের আওতায় সেই পানি নিষ্কাশনের মুখগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। যার কারণে শ্যামপুর শিল্পাঞ্চলে এই সময়েও জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।’
মেয়র তাপস বলেন, ‘বিভিন্ন সংস্থা ঢাকায় অপরিকল্পিতভাবে আমাদের সাথে কোনো সমন্বয় ছাড়া কাজ করছে। এতে ঢাকাবাসীর দুর্ভোগ দিনে দিনে শুধু বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমি আবারও সকলকে অনুরোধ করব, তাদের পরিকল্পনা প্রণয়নের আগেই যেন আমাদের সাথে সমন্বয় করেন।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘মেট্রোরেল কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত আসবে। এটা নতুন পরিকল্পনা। কিন্তু সেই কাজে আমাদের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় বলেছি। কিন্তু আজকে যখন তারা সরেজমিনে এলো তখন দেখলো এটা সাংঘর্ষিক হচ্ছে।’
এর আগে মেয়র এজিবি কলোনি কাঁচাবাজার এবং পরে ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের ধোলাইরপাড়ে সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রের সম্ভাব্য স্থান, কার্জন হল চত্বর (শিক্ষা ভবন সংলগ্ন) এবং সুফিয়া কামাল হল সংলগ্ন পথচারী পারাপার সেতু পরিদর্শন করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।