কুয়াকাটায় ২৪ ঘণ্টার ‘১০ ঘণ্টাই’ বিদ্যুৎ থাকে না
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১১ পিএম, ১৩ অক্টোবর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৩৮ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
কুয়াকাটার হোটেল-মোটেলের মালিকেরা বলেছেন, পর্যটন নগরী হওয়া সত্ত্বেও কুয়াকাটায় প্রতিদিন ১০–১২ বার বিদ্যুৎ–বিভ্রাট হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকে না। এ কারণে পর্যটকেরা অতিষ্ঠ হয়ে কুয়াকাটায় ভ্রমণে আগ্রহ হারাচ্ছেন। এর ফলে হোটেল ব্যবসায়ীসহ পর্যটন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
গতকাল মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন কুয়াকাটার হোটেল-মোটেলের মালিকেরা।
পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, রোটারি ক্লাব অব কুয়াকাটা বিচ ও কুয়াকাটা ক্লাব লিমিটেড।
এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব এম এ মোতালেব শরীফ। তিনি বলেন, সরকার ঘোষিত শতভাগ বিদ্যুতায়নের সুফল থেকে কুয়াকাটা এলাকা বঞ্চিত। এমন কোনো দিন নেই যে সেখানে ১০-১২ বার বিদ্যুৎ–বিভ্রাট হয় না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। ভোল্টেজ এতই কম থাকে যে হোটেল–মোটেলসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের এসি, টিভি, ফ্রিজসহ ইলেকট্রনিক সামগ্রী অচল হয়ে যাচ্ছে। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
মোতালেব শরীফ বলেন, পর্যটকেরা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে কুয়াকাটায় ভ্রমণের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। তাঁরা তিন দিনের পরিবর্তে এক দিন অবস্থান করেই ফিরে যাচ্ছেন। নিকটস্থ বিদ্যুৎ অফিসে বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি।
রোটারি ক্লাব বাংলাদেশের সাবেক গভর্নর শওকত আলী বলেন, গত দেড় বছরে কুয়াকাটার হোটেল মালিকেরা দেউলিয়া হওয়ায় মতো অবস্থায় গেছেন। করোনার কারণে এত দিন হোটেল গুলো বন্ধ ছিল। এখন খুলে দেওয়া হলেও বিদ্যুতের সমস্যা রয়েই গেছে। এর ফলে কুয়াকাটা পর্যটন নগরী হিসেবে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পারছে না।
কুয়াকাটা ক্লাবের সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, যেকোনো উন্নয়নের পেছনে বিদ্যুৎ থাকা অত্যাবশ্যক। বিদ্যুৎ না থাকলে পর্যটকও থাকবেন না। সংবাদ সম্মেলন থেকে কুয়াকাটা পর্যটন নগরীতে বিদ্যুতের সাবস্টেশন স্থাপনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানানো হয়।