রেইনট্রিতে ২ শিক্ষার্থী ধর্ষণ, পিছিয়ে গেল মামলার রায়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৯ পিএম, ১২ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:১৪ পিএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
রাজধানীর বনানীতে দ্য রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার রায় পিছিয়েছে। বিচারক অসুস্থ থাকায় মামলায় রায় ঘোষণা পেছানো হয় বলে জানান আদালতের পেশকার মো. ইলিয়াস।
ধর্ষণের ওই ঘটনায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আজ মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোসাম্মৎ কামরুন্নাহারের আদালতে রায় ঘোষণার কথা ছিল।
এর আগে গত ৩ অক্টোবর বিচারক মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন। একইসঙ্গে এদিন জামিনে থাকা পাঁচ আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। চাঞ্চল্যকর এ মামলায় মোট ৪৭ সাক্ষীর মধ্যে ২২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী এবং তার বান্ধবী ও বন্ধুকে আটকে রাখেন। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে বাদী ও তার বান্ধবীকে জোর করে একটি কক্ষে নিয়ে যান আসামিরা। সেখানে বাদীকে সাফাত আহমেদ ও তার বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ একাধিকবার ধর্ষণ করেন। আসামি সাদমান সাকিফকে দুই বছর ধরে চেনেন মামলার বাদী।
তার মাধ্যমেই ওই ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে সাফাতের সঙ্গে ওই দুই শিক্ষার্থীর পরিচয় হয়।
পরে সাফাত তার জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে ওই দুই শিক্ষার্থীকে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আসার আমন্ত্রণ জানালে তারা সম্মত হন। আমন্ত্রণ জানানোর সময় তাদের বলা হয়েছিল, বড় অনুষ্ঠান হবে, অনেক লোকজন থাকবে। ঘটনার রাতে সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী দুই শিক্ষার্থীকে বনানীর ২৭ নম্বর রোডে অবস্থিত হোটেল রেইনট্রিতে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে তারা অন্য কোনো লোকজন দেখতে পাননি।
তবে অন্য দুই তরুণীকে সাফাত ও নাঈম হোটেলের ছাদ থেকে নিচে নিয়ে যেতে দেখতে পান তারা। কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন না দেখে তারা চলে যেতে চাইলেও আসামিরা তাদের গাড়ির চাবি শাহরিয়ারের কাছ থেকে নিয়ে নেন। পরে তাকে মারধর করা হয়।
এক পর্যায়ে বাদী ও তার বান্ধবীকে হোটেলের একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন আসামিরা। এসময় সাফাত তার গাড়িচালককে ধর্ষণের মুহূর্ত ভিডিও ধারণ করতে বলেন। বাদীকে মারধর করেন নাঈম আশরাফ।