ঢাকা মহানগর দক্ষিণে ২৪টি থানা ও ৭৫টি ওয়ার্ড রয়েছে
কাউন্সিলের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হবে - আবদুস সালাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩২ এএম, ৬ অক্টোবর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০২:২১ পিএম, ৮ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২৪
কাউন্সিলের মাধ্যমে থানা ও ওয়ার্ড কমিটি করবে মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম এই ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ২ আগস্ট এই আহবায়ক কমিটি হয়েছে। দক্ষিণে ২৪টি থানা ও ৭৫টি ওয়ার্ড রয়েছে। নতুনভাবে সংগঠন গড়ে তুলতে ৮টি ভাগে নেতৃবৃন্দকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এই পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজারের কাছাকাছি আমাদের তথ্য ফরম নেতাকর্মীদের কাছে বিতরণ করেছি এবং কাল-পরশুর মধ্যে তথ্য ফরম আমাদের কাছে চলে আসবে। এরপর আমরা প্রত্যেক থানা ও ওয়ার্ডে কর্মিসভা করবো। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক সংগঠন। গণতান্ত্রিকভাবে আমরা সংগঠন গড়ে তুলতে চাই। যেখানে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে আমরা কাউন্সিল করবো, কাউন্সিলের মাধ্যমে সংগঠন হবে। আমাদের সংগঠন হবে গণতান্ত্রিকভাবে। এই কাউন্সিলের জন্য আমরা কর্মিসভা করবো সব ওয়ার্ডে। এই লক্ষ্যে প্রতিটি ওয়ার্ড ও থানায় যাতে কর্মিসভা করা যায় সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন আবদুস সালাম। আমাদের কর্মিসভাগুলো করতে পুলিশ যেন বাধা না দেয় সে ব্যাপারে আমরা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে অনুরোধ জানাতে চাই। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে তার সাথে দেখা করার চেষ্টা করছি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমরা কোথাও কোনো সভা করতে পারি না। কেবলমাত্র কেন্দ্রীয় অফিস ও মহানগর এবং এই অঞ্চলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস সাহেবের বাসার অফিস ছাড়া আর কোথাও আমরা বসতে পারি না। যারা এই সরকারের অধীনে এখনো নির্বাচনের কথা বলেন তাদেরকে বলব, আগে সরকার অন্তত এগুলো নিশ্চিত করুক আমাদের অফিসে যাতে হামলা না দেয়, আমাদের কর্মিসভাগুলো করতে দেয়, আমাদের সম্মেলনগুলো যাতে করতে দেয়। এসব তারা করতে দেয় না। তারা শুধু আওয়ামী লীগ সভা করে বেড়াবে, তাদের অফিসের সামনে জনসভা করবে, মিছিল করবে আর বিএনপিকে করতে দেবে না- এটা হতে পারে না। রাজধানীতে ডেঙ্গু মশক নিধনের বছরব্যাপী পরিকল্পনা, করোনা চিকিৎসায় ঢাকা দক্ষিণের হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত আইসিইউ স্থাপন, মহানগরীর হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ, মাদক, শিশু নির্যাতন ও নারীর সম্ভ্রমহানির মতো অপরাধের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা, দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতি রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া, যানজট নিরসনের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দখলকৃত খেলার মাঠ উন্মুক্তসহ নতুন মাঠের ব্যবস্থা নেয়া, জলাবদ্ধতার নিরসন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সকল মামলা প্রত্যাহার এবং কারাবন্দিদের মুক্তিসহ ২৩ দফা তুলে ধরেন মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক। নয়াপল্টনে আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারে মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে সাংবাদিকদের সাথে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠান হয়।
আবদুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু। অনুষ্ঠানে মহানগর দক্ষিণ আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক নবী উল্লাহ নবী, ইউনুস মৃধা, মো. মোহন, আব্দুস সাত্তার, আনম সাইফুল ইসলাম, হারুন উর রশিদ হারুন, তানভীর আহমেদ রবিন, সদস্য ইশরাক হোসেন, লিটন মাহমুদ, এসকে সেকেন্দার কাদির ও মনির হোসেন চেয়ারম্যানসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতরের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, ওলামা দলের আহবায়ক শাহ নেছারুল হক, সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম তালুকদার, পল্টন থানা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট হোসাইন আব্দুর রহমানসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারাও এই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
গত ২ আগস্ট দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালামকে আহবায়ক ও যুবদল দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনুকে সদস্য সচিব করে ৪৯ সদস্যের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় বিএনপি। একই সময়ে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমানকে আহবায়ক ও ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হককে সদস্য সচিব করে উত্তরের ৪৭ সদস্যের আহবায়ক কমিটিও করা হয়। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৮ এপ্রিল হাবিব-উন নবী খান সোহেলকে সভাপতি ও কাজী আবুল বাশারকে সাধারণ সম্পাদক করে দক্ষিণ এবং এম এ কাইয়ুমকে সভাপতি ও আহসানউল্লাহ হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে উত্তরের কমিটি করা হয়েছিল।