কিউকমের সিইও রিপন মিয়ার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০৩ এএম, ৫ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৩৩ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
রাজধানীর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের সিইও রিপন মিয়ার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ সোমবার রিপন মিয়াকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও প্রতারণার অভিযোগে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে মামলার তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে এক ভুক্তভোগী কিউকমের মালিক মো. রিপন মিয়ার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলা করেন রাজধানীর পল্টন থানায়। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রোববার তাকে গ্রেফতার করে ডিবি মতিঝিল বিভাগ। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার প্রতিষ্ঠানে গ্রাহকদের প্রায় ২৫০ কোটি টাকার পণ্য আটকে রাখা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, করোনাকালে অনলাইনভিত্তিক ই-কমার্স ব্যবসার দ্রুত প্রসার ঘটায় কিউকম অনলাইনে তাদের ব্যবসা শুরু করে। অনেক ক্রেতা কিউকমে মালামাল অর্ডার করে পণ্য না পাওয়ায় প্রতারিত হয়েছেন। এক ভুক্তভোগী কিউকমে অর্ডার করে পণ্য না পাওয়ায় পল্টন থানায় একটি মামলা করেন। এরপর গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগ মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে।
তিনি আরও বলেন, কিউকম প্রায় লক্ষাধিক পণ্য অনলাইনে বিক্রি করে। ক্রেতাকে আকৃষ্ট করার জন্য কিউকম ‘বিজয় আওয়ার’ ‘স্বাধীনতা আওয়ার’ ‘বিগ বিলিয়ন’ নামে ২ থেকে ১৫ দিন সময় দিয়ে অনেক কম দামে মোটরসাইকেল অফার করতো। এক লাখ ৬৭ হাজার টাকার মোটরসাইকেল এক লাখ ২০ হাজার টাকায় পাওয়ার অফার পেয়ে ক্রেতারা নগদ টাকা পরিশোধের মাধ্যমে মোটরসাইকেল অর্ডার করতেন। কিন্তু সময়মতো কিউকম পণ্য সরবরাহ না করায় ক্রেতরা হতাশ হয়ে কিউকমে যোগাযোগ করেন। কিউকম লাভে টাকা ফেরত নেওয়ার অফার করলে ক্রেতারা লোভে পড়ে লাভের অংশ হতে ১০ থেকে ২০ শতাংশ কমে কিউকম হতে টাকার চেক নেন।
জানা যায়, অন্যান্য ই-কমার্স সাইটের মতো কিউকমও চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতো। প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ কয়েকটি ই-কমার্স সাইটের মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতারের পর সম্প্রতি অফিস বন্ধ করে দেয় কিউকম। এই ই-কমার্স সাইটটির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের পণ্য সঠিক সময়ে ডেলিভারি না দেওয়াসহ টাকা আটকে রাখার অভিযোগ রয়েছে।