নবাবগঞ্জে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২১ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:০৮ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ঢাকার নবাবগঞ্জে অ্যাসিড জাতীয় তরল কিছু পান করিয়ে স্বামী হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে মারা যান স্বামী ওয়ালিদ (৩৫)। ওয়ালিদের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেছেন তার বড় ভাই মো. ওয়াসিম।
ওয়ালিদের পরিবারের অভিযোগ, ওয়ালিদ তার স্ত্রী নিশুকে (৩২) চাহিদা মোতাবেক টাকা দিতে না পারায় অ্যাসিড জাতীয় তরল কিছু পান করিয়ে ওয়ালিদকে হত্যা করেছে। নিশুকে একাজে সহযোগিতা করেছে নিশুর প্রথম স্বামী আসলামসহ তার সহযোগিরা।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দোহার উপজেলার ইকরাশি গ্রামের আসলামের স্ত্রীর নিশু’র সাথে নবাবগঞ্জ উপজেলার মৌলভীডাঙ্গীর মঙ্গল হাজির ছেলে ওয়ালিদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রথম স্বামীকে তালাক না দিয়েই গত ১৯ আগস্ট তারা পালিয়ে গিয়ে কোর্টে বিয়ে করে সাভারের বসবাস শুরু করে। বিয়ের পরেই নিশু ওয়ালিদকে কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি হলে নিশু প্রথম স্বামী আসলামের কাছে চলে আসে। এরপর নিশু আবারো ওয়ালিদের কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় নিশু ও তার প্রথম স্বামী আসলাম লোকজন নিয়ে সাভার গিয়ে ওয়ালিদকে শারিরীক নির্যাতন করে এবং জোড় পূর্বক অ্যাসিড জাতীয় তরল পান করিয়ে দেন। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ওয়ালিদ নবাবগঞ্জ এলে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার তাকে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়। রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় সেখানে মারা যান ওয়ালিদ।
ওয়ালিদের বোন নাসরিন জানান, নিশু ও আসলাম আমার ভাইকে চক্রান্ত করে মেরে ফেললো। ঘটনাটি সাভার থানা তাই সাভার থানায় অভিযোগ করেছি। এসময় তিনি ভাইয়ের হত্যার বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নিশু বলেন, ওয়ালিদ আমাকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বাধ্য করেছে বিয়ে করেছে। পরবর্তী সময়ে আমি আমার প্রথম স্বামী আসালামের কাছে ফিরে আসি এবং ওয়ালিদকে তালাক দেই। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা এই ব্যাপারে কোন জড়িত নই।