এবার ট্রাক-লরি মালিকদের কর্মবিরতির হুমকি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৩৪ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৫৫ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ট্রাক চালক লিটন ও আবু তালেব হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, বর্ধিত আয়কর প্রত্যাহার করে জরিমানা ব্যতীত গাড়ির কাগজপত্র হালনাগাদ করার সুযোগ, চাঁদাবাজি বন্ধসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে সরকারকে সময় বেঁধে দিয়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, ট্যাংকলরি, প্রাইম মুভার মালিক সমন্বয় পরিষদ।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক ওসমান আলী লিখিত বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, আগামী রোববারের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে ১০ দফা দাবি পূরণ না হলে ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার পণ্য পরিবহনে কর্মবিরতি পালন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মহাসড়কে কাগজপত্র চেক করার নামে পুলিশি হয়রানি ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। চেকিংয়ের জন্য শুধু হাইওয়ে পুলিশের ওপর দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানায় সংগঠনটি।
বর্ধিত আয়কর প্রত্যাহার করে জরিমানা ব্যতীত গাড়ির কাগজপত্র হালনাগাদ করার সুযোগ দেওয়া ও দুর্ঘটনা রোধে মহাসড়কে পাশে চালকদের বিশ্রামে কয়েকটি ট্রাক টার্মিনাল করার দাবি জানানো হলেও কোনো উদ্যোগ নেই সরকারের। যার কারণে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানান নেতারা।
মালিক -শ্রমিকদের দেওয়া দাবি আদায় না হলে লাগাতার ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়ে সংগঠনটি জানায়, এবার মুখে কোনো আশ্বাস নয়, লিখিত আদেশ ছাড়া গাড়ির কোনো চাকা চলবে না বলেও জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয় পরিষদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ২৫ আগস্ট জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সংগঠনের আহ্বায়ক মো. রুস্তম আলী খান ট্রাক চালক লিটন হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। ওইদিন ১০ দফা দাবি জানায় বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান, ট্যাঙ্কলরি, প্রাইম মুভার মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ ১০ দফা দাবি আদায় না হলে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টার পণ্য পরিবহন কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছিল সংগঠনটি।
তাদের দাবিগুলো হলো: ড্রাইভিং লাইসেন্সের জটিলতা নিরসন করে সহজশর্তে লাইসেন্স দেওয়া, পণ্য পরিবহনের সময় মালামার চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই রোধে জরুরি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং এর সঙ্গে জড়িত ড্রাইভার, মালিক বা ট্রান্সপোর্ট এজেন্সিসহ যেই থাকুক না কেন তাকে আইনে আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা, বর্ধিত আয়কর প্রত্যাহার করে করোনাকালীনে পূর্বের ন্যায় জরিমানা ব্যতীত গাড়ির কাগজপত্র হালনাগাদ করার সুযোগে দেওয়া, সড়ক-মহাসড়কে কাগজপত্র চেকিংয়ের নামে পুলিশী হয়রানি, চাঁদাবাজি, মাসিক মাসোহারা বন্ধ করা, মালিক ও শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের নির্দেশিকা অনুযায়ী পরিচালনা ব্যয় আদায় করার সুযোগ দেওয়া এবং নির্দিষ্ট স্থানে কাগজপত্র চেকিং এর ব্যবস্থা করা।