ই-অরেঞ্জের গ্রাহকের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১৩ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:০৮ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
অর্ডারকৃত পণ্য বা সমমূল্যের রিফান্ড পাওয়ার দাবিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার সময় পুলিশের বাধার মুখে পড়েন ই-অরেঞ্জ গ্রাহকরা। তারা মৎস্য ভবনের সামনে গেলে পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করা হয়। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন আহত হন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন ই-অরেঞ্জ গ্রাহকরা। সেখানে ভুক্তভোগী কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যানারে তারা মানববন্ধন করেন। এ সময় কমিটির আহ্বায়ক আফজাল হোসেন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন।
মিছিলে ই-অরেঞ্জের মূল হোতা সোহেল রানা ও ক্রিকেটার মাশরাফীর বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। এ ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ই-কমার্সের বিরুদ্ধেও স্লোগান দেন ই-অরেঞ্জ গ্রাহকরা।
আন্দোলনকারীরা জানান, মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জে তাদের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ তাদের কয়েকজনকে আটক করে।
এ বিষয়ে ই-অরেঞ্জ ভুক্তভোগী কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আফজাল হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করেছে। আমাদের ১০ জন এতে আহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে কয়েকজনকে।
তিনি আরও বলেন, আমরা নতুন করে কর্মসূচি দেব। নিরীহ মানুষের ওপর পুলিশ কেন হামলা করবে, আমরা তো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম। আমরা আবারও শাহবাগে একত্রিত হব।
এদিকে সোহেল রানা ভারতে পালাতে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক হন। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সোহেল রানাকে কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জের স্থানীয় নিম্ন আদালতে তোলা হয়। দুই দফায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী তপন রায় প্রধান বলেন, 'সোহেল রানাকে বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ২২ সেপ্টেম্বর তাকে আবার আদালতে তোলা হবে। সে পর্যন্ত উনি জেল হেফাজতে থাকবেন। সোহেল রানার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। আমরা আবেদন করেছি, জেলে থাকা অবস্থায় যেন ওনার শারীরিক পরীক্ষা করা হয় এবং প্রোপার মেডিকেল ট্রিটমেন্ট করা হয়। আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন এবং জেলারকে আদালত সোহেল রানার শারীরিক কন্ডিশন দেখভাল করার জন্য অর্ডার করেছেন।’
সোহেল রানার বিরুদ্ধে ই-অরেঞ্জ নামে অনলাইন মার্কেট প্লেসের সঙ্গে যোজসাজশ থাকার অভিযোগ রয়েছে, যে প্রতিষ্ঠানটির মালিককে প্রতারণার মামলায় ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসামি হিসেবে রানাকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে দিল্লির কাছে। ৩ সেপ্টেম্বর চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার হন প্রতারক সোহেল রানা।
সোহেল রানাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি) চিঠি দেয় পুলিশ সদর দপ্তর। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম জানান, চিঠির এখনো কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। আবারও চিঠি পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।