সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধের ব্যাপারে নতুন সিদ্ধান্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০১ এএম, ১৫ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১২:১২ এএম, ১৬ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২৪
বিদ্যুৎকেন্দ্রে পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধের সিদ্ধান্ত আজ বুধবার থেকে কার্যকর হচ্ছে না। এর জন্য আরও কয়েকদিন সময় চায় ফিলিং স্টেশন মালিক সমিতি। একই সঙ্গে প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে দিনে ৬ ঘণ্টার পরিবর্তে সর্বোচ্চ ৩ ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন বন্ধের। প্রস্তাবে ইতিবাচক সায় দিয়ে পেট্রোবাংলা বলছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রে পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পিক আওয়ারে বন্ধ রাখা হতো সিএনজি ফিলিং স্টেশন। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস-এলএনজি যুগে প্রবেশ করার পর তুলে নেয়া হয় সিএনজি স্টেশনে গ্যাস রেশনিং। তবে কোভিডের ধাক্কা সামলে সব কিছু স্বাভাবিক ছন্দে ফেরায় আবারো বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। তাই সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ নিশ্চিতে গ্যাসের যোগান বাড়ানোর ওপর জোর দেয় সরকার। সেক্ষেত্রে রবিবার জারি করা হয় প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টার জন্য সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখার। যা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল বুধবার থেকে।
আজ মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পেট্রোবাংলা কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে বৈঠকে বসেন সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মালিকরা। বৈঠকে ৬ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে দিনে ৩ ঘণ্টার জন্য সিএনজি স্টেশন বন্ধের প্রস্তাব রাখা হয়। এতে ইতিবাচক সায় দিয়ে পেট্রোবাংলা বলছে, তাদের সুপারিশ পাঠানো হবে মন্ত্রণালয়ে। আর বুধবার থেকে কার্যকর হচ্ছে না সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস রেশনিং। সিএনজি ফিলিং স্টেশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাসুদ খান বলেন, আমরা একটা প্রস্তাব রেখেছি তাদের কাছে বন্ধ ৩ ঘণ্টার বেশি না হয়। আর কাল থেকে বন্ধ যেন না হয়।
পেট্রোবাংলার (অপারেশন ও মাইন বিভাগ) পরিচালক আলী মো. আল মামুন বলেন, আমরাও প্রস্তাবটা দেখতে চাচ্ছি যে এটা ম্যাচ করে কিনা। তাদের যে বক্তব্যটা এসেছে সেটা বিবেচনা করে মন্ত্রণালয়ে পেশ করা হবে। গ্যাস সংকট কাটাতে এলএনজি আমদানি কেন আরও বাড়ানো হচ্ছে না এর জবাবে বিশ্ববাজারের দামের ঊর্ধ্বমুখীকে কারণ হিসেব তুলে ধরে পেট্রোবাংলা। পরিচালক আলী মো. আল মামুন বলেন, অসম্ভব রকমের বেশি যে, এটা আমাদের জন্য ভায়েবল হবে না, সেকারণেই আসলে এখন করা হচ্ছে না। তবে এটা আমরা চেষ্টা করেছি যে খুব তাড়াতাড়ি এলএনজি আমদানি করা যায় কিনা, সেটা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পেট্রোবাংলা বলছে, নভেম্বর-ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকতে পারে সিএনজি স্টেশনে গ্যাস রেশনিং। শীত এলে পরিস্থিতি বিবেচনায় নেওয়া হবে নতুন সিদ্ধান্ত।