বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল আত্মসাতে ডেসকো ও তিতাসের দুই আউটসোর্সিং কর্মচারী গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫১ এএম, ৮ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৫৫ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে রাজধানীর মিরপুরের তিনটি ওয়ার্ডের দেড় হাজার গ্রাহকের গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল আত্মসাৎকারী চক্রের আরও দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তারা দুজনই ডেসকো ও তিতাসের আউটসোর্সিং কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। এর আগে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল হোতা ও এজেন্ট ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান ‘ইন্টার্ন ব্যাংকিং অ্যান্ড কমার্স’-এর প্রধান ওমর ফারুকসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র্যাব ও পুলিশ। চক্রটি গ্রাহকদের প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়েছিল।
আজ মঙ্গলবার সকালে পিবিআইর ঢাকা মেট্রো (উত্তর)-এর পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম দুজন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ডেসকো মনিপুরের আউটসোর্সিং সুপারভাইজার মামুন (৩২) ও তিতাসের মিরপুরের আউটসোর্সিং কর্মচারী রফিকুল ইসলাম রাকিবকে (৩২) মিরপুর থেকে ৬ সেপ্টেম্বর রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার ওমর ফারুকের আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে এই দুজনের জড়িত থাকার নাম এসেছে। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার দুজনের সঙ্গে ওমর ফারুকের সখ্যতা ছিল। তারা আহম্মদ নগর এলাকায় লাইন সংযোগ ও বিচ্ছিন্ন করারও কাজ করতেন বলেও জানান তিনি। ২০১৮ সাল থেকে রাজধানীর মিরপুর-২ এর ৬০ ফিট এলাকায় ‘ইন্টার্ন ব্যাংকিং অ্যান্ড কমার্স’ নামে একটি এজেন্ট ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে এবং এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এলাকার প্রায় দেড় হাজার গ্রাহকের গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের বিলের টাকা সংগ্রহ করতো। কিন্তু গত প্রায় ২ বছর ধরে ওমর ফারুক গ্রাহকের গ্যাস বিলের ১০ কোটি টাকা জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করে। গত জানুয়ারিতে মিরপুর এলাকায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে বকেয়া বিলের জন্য প্রায় দেড় হাজার গ্রাহকের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার প্রচারণা চালায়।
এই মাইকিংয়ের পরপরই ভুক্তভোগী গ্রাহকরা প্রতারক ফারুকের ও তার প্রতিষ্ঠান ‘ইন্টার্ন ব্যাংকিং অ্যান্ড কমার্স’র বিরুদ্ধে রাস্তায় আন্দোলনে নেমে পড়েন এবং ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে গত ২৩ জানুয়ারি ‘ইন্টার্ন ব্যাংকিং অ্যান্ড কমার্স’সহ তিনটি অফিস তালাবদ্ধ করে চক্রটি পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে কয়েকজন ভুক্তভোগী মিরপুর মডেল থানায় গত ২ ফেব্রুয়ারি ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। এর পরপরই র্যাব-৪ এর গোয়েন্দা দল উক্ত মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং জালিয়াতির রাজা প্রতারক ওমর ফারুককে গ্রেফতার করে। মামলাটি বর্তমানে পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্তর) তদন্ত করছে।