ডিএনসিসি এলাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমছে - আতিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১০ এএম, ১৫ আগস্ট,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:২৬ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় গড়ে ওঠা সামাজিক আন্দোলনের সুফল হিসেবেই ডিএনসিসি এলাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমছে।
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর হাতিরঝিলের নিকটস্থ মধুবাগ এলাকায় ‘দশটায় ১০ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি করি পরিষ্কার’ বাস্তবায়নপূর্বক উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে স্লোগানটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরার সময় ডিএনসিসি মেয়র একথা বলেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নগরবাসীর সচেতনতার কারণেই অন্যান্য এলাকার তুলনায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম রয়েছে।
মেয়র বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, গতকাল মহানগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২১০ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার ডেঙ্গু রোগী রয়েছেন মাত্র ৩২ জন। ডিএনসিসি এলাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা রাজধানীর মোট আক্রান্তের তুলনায় অনেক কম হলেও এটিকে শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যেই সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় কাউন্সিলরসহ ডিএনসিসি’র সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী মাঠে সক্রিয় থাকবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, নগরবাসীর কল্যাণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৬টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই ডেঙ্গু রোগের ফ্রি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডিএনসিসি মেয়র বলেন, নিজেদের সুস্থতার জন্যই সবাই মিলে ‘দশটায় ১০ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি করি পরিষ্কার’ এই স্লোগানটিকে বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় সামাজিক আন্দোলনকে আরও জোরদার করতে হবে। নিজেদের বাসাবাড়িতে ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের খোলা প্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের খোলা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কোথাও যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ‘তিন দিনে এক দিন, জমা পানি ফেলে দিন’, তিন দিনে একদিন না হলেও সপ্তাহে কমপক্ষে একদিন হলেও স্বচ্ছ জমা পানি ফেলে দেয়ার আহ্বান জানান মেয়র।
আতিক বলেন, ‘সবার ঢাকা’ মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করেও যেকোনো নাগরিক অতি সহজেই সরাসরি তার মতামত কিংবা অভিযোগ তুলে ধরতে পারছেন এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যেই উক্ত সমস্যার সমাধান পাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালগুলোতে কোনো জায়গা নেই, মাস্ক ছাড়া কোনো গতি নেই। তাই আমাদের প্রত্যেককেই সঠিকভাবে মাস্ক পরিধানসহ সরকারি নির্দেশনা এবং স্বাস্থ্যবিধিসমূহ যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান এবং স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।