এসপির বিরুদ্ধে নারী সহকর্মীর ধর্ষণের এফআইআর গ্রহণ করল থানা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৯ এএম, ১৪ আগস্ট,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:২২ পিএম, ১৩ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
পিবিআইয়ে কর্মরত পুলিশ সুপার (এসপি) মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে তারই সহকর্মী এক নারী ইন্সপেক্টর আদালতে ধর্ষণের যে মামলা দায়ের করেছিলেন সেটি ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট (এফআইআর) হিসেবে গ্রহণ করেছে ডিএমপির উত্তরা পূর্ব থানা। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারের আদালতে মামলা করেন ওই নারী ইন্সপেক্টর। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আবেদনটি উত্তরা পূর্ব থানাকে মামলা হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উত্তরা পূর্ব থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আলমগীর গাজী।
তিনি বলেন, ‘আদালতের নির্দেশের ডকেট হাতে পেয়ে সেটির এফআইআর গ্রহণ করেছি। মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। যথাযথ আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।’
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘২০১৯ সালে বাদী ও আসামি মোক্তার হোসেন দুজনই সুদানে কর্মরত ছিলেন। সেখানে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর দুপুরে আসামি বাদীর বাসায় তার ব্যবহৃত গাড়ির চাবি চান। বাদী চাবি ইউনিফর্মের পকেট থেকে আনতে গেলে আসামি পেছন থেকে তাকে জাপটে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।’ ‘পরে এ ঘটনা কাউকে না জানাতে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখান ও হুমকি দেন। এর দুদিন পর ২২ ডিসেম্বর আসামি পুনরায় আগের ঘটনা ভুল বোঝাবুঝির কথা বলে বাদীর বাসায় যান। কিন্তু ওইদিনও বাদীকে তিনি জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এ ঘটনাও কাউকে না জানাতে আসামি বাদীকে হুমকি দেন।’
এজাহারে আরও বলা হয়, ‘যদি বাদী কাউকে ধর্ষণের ঘটনা জানায়, তাহলে তার ক্ষতি করার হুমকি দেয়া হয়। এছাড়া আসামি বাদীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। বাদী বিষয়টি পুলিশ ডিপার্টমেন্টে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের তদন্ত চলছে।’