এডিসি সাকলায়েনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার সুযোগ নেই - ডিএমপি কমিশনার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০২ এএম, ১১ আগস্ট,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৫৯ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমনির সঙ্গে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলায়েনের ‘ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের’ বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। এ ঘটনায় এডিসি সাকলায়েনকে ডিবি থেকে বদলি করা হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা জানান।
কমিশনার বলেন, পরীমনির কোনো মামলা তদারকির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না এডিসি সাকলায়েন। সঙ্গত কারণে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে পরীমনিকে নিয়ে এডিসি গোলাম সাকলায়েনের ভূমিকায় পুলিশ বাহিনী বিব্রত উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, তাকে গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) থেকে বদলি করা হয়েছে। বাহিনীর শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা ভঙ্গের কারণে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে বিপুল পরিমাণ মাদকদসহ গ্রেফতার করা হয়। একই দিন গ্রেফতার করা হয় পরীমনির ঘনিষ্ঠ প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজকে। এর আগে কথিত মডেল পিয়াসা ও মৌকে আটক করা হয়। পরে জানা যায়, তারা একটি চক্র। সমাজের উচ্চবিত্ত ও ব্যবসায়ীদের ব্ল্যাকমেইলিং করেন তারা।
গণমাধ্যমে খবর আসে, পরীমনির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক অনেক ব্যবসায়ী, আমলা, ব্যাংকারের। সূত্র বলছে, কয়েকটি ব্যাংকে পরীর মোটা অঙ্কের টাকা রয়েছে। যার বেশিরভাগই তিনি পেয়েছেন শুভাকাক্সক্ষীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে। পরীমনি তার ঘনিষ্ঠ মডেলদের মাধ্যমে একটি চক্র গড়ে তোলেন। উঠতি মডেল এবং চিত্রনায়িকাদের পর্নোছবি তুলে পাঠানো হতো কথিত হাই-প্রোফাইলদের কাছে। তার মাধ্যমে অনেকে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হন। পরীমনির ঘনিষ্ঠদের তালিকায় আছেনÑ পুলিশ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, আমলা, রাজনীতিবিদসহ অনেক প্রভাবশালীর নাম। এদের কেউ কেউ দেশের বাইরে পরীর সঙ্গে ঘুরতে যান। এসব বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল ইসলাম বলেন, পরীমনির বিষয়ে কোনো ব্যবসায়ীর তালিকা হচ্ছে না বা কাউকে গ্রেফতারের জন্য কাজ করছে না পুলিশ। পরীমনি গ্রেফতারের পর নানা খবরে নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। পরীমনি ইস্যুতে কোনো ব্যবসায়ীর সঙ্গে সম্পর্ক বা প্রতারণা নিয়ে কোনো পক্ষেরই অভিযোগ নেই। তাই কোনো তালিকা করারও সুযোগ নেই। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।