ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে করা রিটের আদেশ মঙ্গলবার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৭ এএম, ১০ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০২:১৫ এএম, ১৩ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুলকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে দায়ের করা রিটের আদেশ আজ মঙ্গলবার। এই অধ্যক্ষের সঙ্গে অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ ফাঁস হওয়া বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রিটটি দায়ের করা হয়। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কি করেছে তা জানাতে রাষ্ট্রপক্ষে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম এ রিট করেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। আবেদনে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের ‘অসদাচরণ ও দুর্নীতির’ বিষয়ে তদন্ত করতে বিভাগীয় ব্যবস্থার কার্যক্রম চালু না করায় বিবাদীদের ব্যর্থতা এবং নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং বিভাগীয় ব্যবস্থার কার্যক্রম শুরু করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় একজন সিনিয়র শিক্ষককে দায়িত্ব দিয়ে অধ্যক্ষ হিসেবে কার্যক্রম চালানো থেকে বিরত থাকতে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন জানানো হয়েছে। আবেদনে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি গণমাধ্যমে ২৭ জুলাই প্রকাশিত ‘আমি গুলি করা মানুষ পিস্তল বালিশের নিচে থাকত’ শীর্ষক সংবাদে বলা হয়, ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং অভিভাবক ফোরামের উপদেষ্টা মীর শাহাবুদ্দিন টিপুর একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
এতে অধ্যক্ষ ওই অভিভাবককে বলেন, ‘আমি কিন্তু গুলি করা মানুষ। রিভলবার নিয়া ব্যাগের মধ্যে হাঁটা মানুষ। আমার পিস্তল বালিশের নিচে থাকত। কোনো বাচ্চা যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু ওর পেছনে লাগব, আমি শুধু ভিকারুননিসা না আমি দেশছাড়া করব।’ ফোনালাপের অডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এছাড়া দৈনিক শিক্ষা নামের একটি অনলাইনে ‘ভিকারুননিসা ক্যাম্পাসে গরুর হাট, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ ’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এসব বিষয় উল্লেখ করে মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম ২৭ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ও শিক্ষা সচিব বরাবরে চিঠি দেন। চিঠিতে তিনি তদন্তের মাধ্যমে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তদন্তের স্বার্থে অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্তের আবেদন জানান। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন বলে জানান আইনজীবী মো.আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, অধ্যক্ষ অডিওতে যেসব কথা বলেছেন, তাতে তিনি ওই কলেজের অধ্যক্ষ পদে থাকার নৈতিক অবস্থান হারিয়েছেন। রিটে বিবাদী করা হয়েছে, শিক্ষা সচিব, শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচলক, অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার মুকুল এবং গভর্নিং বডির সভাপতিকে।