সাঈদীর করফাঁকির মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের শুনানি ৬ জানুয়ারি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০৫ এএম, ৮ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২০ | আপডেট: ১২:৫৫ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
করফাঁকির মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। অ্যাডভোকেট মো. মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ সোমবার (৭ ডিসেম্বর) বকশীবাজারের বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক নজরুল ইসলামের আদালতে সাঈদীর বিরুদ্ধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) করা আয়কর ফাঁকির মামলায় বাদী পক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। আদালতে সাঈদীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন। এ বিষয়ে আগামী ৬ জানুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন এই আদালত।
এর আগে আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে বকশিবাজারের বিশেষ জজ আদালতে হাজির করা হয়। এরপর বেলা পৌনে ১১টার আবার কারাগারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। ২০১২ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় আমৃত্যু কারাদন্ডে দন্ডিত সাঈদীর বিরুদ্ধে করফাঁকির মামলার অভিযোগ গঠন হয়।
এদিকে ২ কোটি ২৭ লাখ ৪০ হাজার ১২০ টাকা আয় গোপন করে তার ওপর প্রযোজ্য কর ৫৬ লাখ ৪৬ হাজার ৮১২ টাকা করফাঁকির অভিযোগে ২০১১ সালের ১৯ আগস্ট এনবিআর মামলাটি দায়ের করে। পরের বছর ১৫ সেপ্টেম্বর এই মামলায় সাঈদীর বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। সাঈদীকে আদালতে হাজির করার কারণে বকশীবাজার এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে পুলিশ। তালিকাভুক্ত আইনজীবী ছাড়া আর কাউকেই আদালতে ঢুকতে দেয়া হয়নি। সাঈদীর বিরুদ্ধে ২ কোটি ২৭ লাখ ৪০ হাজার ১২০ টাকা আয় গোপন করে তার ওপর প্রযোজ্য ৫৬ লাখ ৪৬ হাজার ৮১২ টাকা কর ফাঁকির অভিযোগ এনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উপ-কর কমিশনার মাসুমা খাতুন এ মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০৫ সালের ১ জুলাই হতে ২০০৯ সালের ৩০ জুন সময়কালের মধ্যে আসামি এ কর ফাঁকি দিয়েছেন। মামলায় ৮ জনকে সাক্ষী করা হয়। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন সাঈদীকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।