এবার হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলার দাবি ব্যবসায়ীদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৪ পিএম, ২ আগস্ট,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৪২ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে তৈরি পোশাক শিল্পসহ উৎপাদনমুখী কারখানা খোলার অনুমতির পর এবার দেশের সব হোটেল, রেস্তোরাঁ খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি।
আজ সোমবার (২ আগস্ট) রাজধানীতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের প্রতি এই দাবি জানান সংগঠনের নেতারা।
এ সময় খাদ্যপণ্যের অনলাইন ডেলিভারি কোম্পানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কমিশনে সুনির্দিষ্ট নিতিমালা প্রণয়ন করা ও নিয়ন্ত্রণেরও দাবি জানানো হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান।
এ সময় অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন, ইমরান হাসান বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, হোটেল রেস্তোরাঁ, স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী খোলা রাখতে চাই। যদি সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে ৫০ ভাগ আসনে বসিয়ে হোটেল, রেস্তোরাঁ চালু করতে চাই।
সরকারি সহায়তার বিষয়ে তিনি বলেন, শুধুমাত্র তৈরি পোশাক খাত দেশের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেনি। হোটেল, রেস্তোরাঁ খাত তাদের পর্যায়ে অবদান রাখলেও এই খাতে কোনো সহযোগিতা বা প্রণোদনা দেওয়া হয়নি। আমাদের দাবি সহজ শর্তে, স্বল্প সুদে জামানতবিহীন এবং দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দিতে এই খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানাচ্ছি।
লকডাউনে খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সমস্যার বিষয়ে তিনি বলেন, দেশে ৬০ হাজার রেস্তোরাঁয় ৩০ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রায় ২ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। যারা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। দেশে শতকরা ৮০ ভাগ রেস্তোরাঁ বন্ধ রয়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে টেলিফোন আসছে। আমাদের বাঁচান। আমরা এ ব্যবসায় টিকে থাকতে পারলাম না। এমন কথা সর্বদা উচ্চারিত হচ্ছে, যা আমাদের কষ্ট দেয়। রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকা সংশ্লিষ্ট মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হৃদয়বিদারক কষ্ট করছেন, যা ভাষায় বুঝানো সম্ভব নয়।
লকডাউন ও করোনাকালীন হোটেল, রেস্তোরাঁর ব্যবসা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানো হয়েছে, করোনার প্রথম ঢেউয়ে এই খাতের ৩০ শতাংশ ব্যবসায়ী দেউলিয়া হয়ে গেছেন। এই সময়ে ক্ষতি হয়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকা। এখন দ্বিতীয় ঢেউয়ে ৮০ শতাংশ হোটেল, রেস্তোরাঁ বন্ধ রয়েছে। এই সময়ে ক্ষতির পরিমাণ ও ব্যবসা ছেড়ে যাওয়ার সংখ্যা পাওয়া যায়নি। তবে এর পরিমাণ প্রথম থেকে দ্বিগুণ হবে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন।