সড়কে যানবাহনের চাপ, বেড়েছে পথচারীদের চলাচল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৭ পিএম, ২ আগস্ট,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০২:২২ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে কঠোর বিধিনিষেধ। বন্ধ রয়েছে অফিস-আদালত, সীমিত করা হয়েছে যান চলাচল। এর মধ্যেই গতকাল রবিবার থেকে চালু হয়েছে পোশাক কারখানা।
বিধিনিষেধের ১১তম দিনে আজ সোমবার (২ আগস্ট) সকাল রাজধানীর কয়েকটি স্থানে ছিলো যানবাহনের ভিড় আর তীব্র যানজট।
রাজধানীর শ্যামলী, কলেজগেট, কাওরানবাজার, বাংলামোটর, পল্টন সড়কে যানবাহনের ভিড় দেখা গেছে। এছাড়াও সড়কে গাড়ির চাপ রয়েছে উত্তরা, বিমানবন্দর সড়ক, বাড্ডা ও রামপুরায়।
রাজধানীর এসব এলাকায় একদিকে যেমন বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল ও রিকশার সংখ্যা, তেমনি বেড়েছে পথচারীদের চলাচল।
অলিগলিতে মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। তাদের কেউ বের হয়েছেন বাজার করতে, কেউ কর্মস্থলে যোগ দিতে, কেউ সকালের নাস্তা করতে। আবার কেউবা বের হয়েছেন হাঁটতেও। গলির কিছু কিছু দোকানের শাটার অর্ধেক খোলা রেখে বিক্রি চলছে।
রাজধানীতে আজ উল্লেখযোগ্য হারে নগরবাসীর চলাচল বাড়লেও বিগত দিনের মতোই সক্রিয় অবস্থানে রয়েছেন সড়কে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। সড়কে গাড়ির চাপ কমাতে নগরীর প্রতিটি প্রতিটি পয়েন্টেই ব্যস্ত সময় পার করছেন ট্রাফিক পুলিশরা।
রাজধানীর কাওরানবাজার সার্ক পোয়ারার মোড়ে দায়িত্বরত একজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘গত দুইদিন ধরে আজ যানবাহন ও মানুষের সংখ্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে যারা এখনো অকারণে বাইরে বের হচ্ছেন তাদেরকে চেক পোস্টে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকায় গত ১ জুলাই থেকে শুরু হয় সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। এ সাত দিন বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার পরও ভাইরাসটির সংক্রমণ না কমায় কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশে ফের দফায় দফায় বিধিনিষেধ বাড়ানো হয়। শেষ ঘোষণায় ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে চলমান বিধিনিষেধ।