নিজ নিজ বাসাবাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রতি শনিবার ১০টায় ১০ মিনিট সময় দিন - মেয়র আতিকুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৩ এএম, ৩১ জুলাই,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৩০ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
নিজ নিজ বাসাবাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রতি সপ্তাহে নগরবাসীকে অন্তত ১০ মিনিট সময় দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকার সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে গিয়ে শুক্রবার গুলশানের নগর ভবন থেকে তিনি এ আহ্বান জানান।
এসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমকে একটি সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে হবে বলে উল্লেখ করেন মেয়র। বলেন, এডিস মশার বংশবিস্তাররোধে আমাদের সবাইকেই লজ্জা পরিহার করে প্রতি শনিবার সকাল ১০টায় ১০ মিনিট স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ নিজ বাসাবাড়ি পরিষ্কার করতে হবে।
মেয়র জানান, তিনি নিজেও শনিবার সকাল ১০টায় ১০ মিনিট নিজের বাসাবাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করবেন। এটি তিনি তার ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজ থেকেও শেয়ার করবেন। নগরবাসীকেও একযোগে একই সময়ে নিজ নিজ বাসাবাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে এবং তা ফেসবুকে শেয়ার দিতে আহ্বান জানান আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত মসজিদের ইমামরা যাতে শুক্রবারের জুমার নামাজের খুতবায় মুসল্লিদের উদ্দেশে ‘১০টায় ১০ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি করি পরিষ্কার’ স্লোগানটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে কমপক্ষে পাঁচ মিনিট আলোচনা করেন সেজন্য অনুরোধপত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, নিজেদের বাসাবাড়িতে ফুলের টব, যানবাহনের অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, বিভিন্ন ধরনের খোলা প্যাকেট বা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কিছুতে যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে যেন ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় কারো মৃত্যু না হয়, সেজন্যই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১০টি অঞ্চলের ৫৪টি ওয়ার্ডে একযোগে ২৭ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত শুক্রবার ব্যতীত ১০ দিনব্যাপী মশক নিধনে চিরুনি অভিযানসহ জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। নগরবাসীর কল্যাণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৪টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই ফ্রি ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান উত্তরের মেয়র।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত দেশে সর্বমোট ডেঙ্গু রোগী ২ হাজার ২৯২ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৬৪৬ জন। কোভিড পরিস্থিতিতে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনতে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য কয়েকটি হাসপাতাল নির্দিষ্ট করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
চলতি মৌসুমে ডেঙ্গু সন্দেহে ৩টি মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেলেও এখনো কোনো মৃত্যুই ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করেনি আইইডিসিআর। দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৩০০ মানুষ প্রাণ হারান। তবে সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ১৭৯। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, ওই বছর সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন।